সিমিল্যাক ১ খাওয়ার এবং বানানোর নিয়ম- সিমিল্যাক ১ খাওয়ার বয়স-দাম,পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রিয় পাঠক আপনি কি সিমিল্যাক ১ খাওয়ার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে সিমিল্যাক ১ খাওয়ার নিয়ম এবং সিমিল্যাক ১ খাওয়ার বয়স সম্পর্কে আলোচনা করব।
সিমিল্যাক ১ খাওয়ার এবং বানানোর নিয়ম
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন সিমিল্যাক ১ বানানোর নিয়ম এবং সিমিল্যাক ১ দাম ও সিমিল্যাক ১ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

সিমিল্যাক ১ খাওয়ার নিয়ম

সিমিল্যাক ১ হচ্ছে সেই সব শিশুদের জন্য যারা পৃথিবীতে আসার পরে থেকে মায়ের দুধ পান করা থেকে বিরত থাকে অর্থাৎ যারা একেবারে নবজাতক তাদের জন্য। এই দুধ তৈরি করা হয়েছে শূন্য থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য। প্রতিটি সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে খাওয়ানোর নিয়ম পরিবর্তন হয়। একেক সপ্তাহে একেক ভাবে খাওয়াতে হয়।


যখন বাচ্চার বয়স আস্তে আস্তে বেশি হতে থাকবে তখন খাওয়ানোর নিয়মও আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে থাকবে। ছয় মাস পার হওয়ার পরে কখনোই তাদেরকে এই দুধ খাওয়ানো উচিত হবে না। তখন তাদের জন্য ভিন্ন দুধ রয়েছে তাদেরকে সেই সময় সেটা খাওয়াতে হবে।

সিমিল্যাক ১ খাওয়ার নিয়ম এই দুধ বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। পৃথিবীতে যখন একটি শিশু আসে তখন তাকে এই দুধ খাওয়ানোর নিয়ম ভিন্ন এবং যখন আস্তে আস্তে তার বয়স বেশি হতে থাকবে তখন তাদেরকে এই দুধ খাওয়ানোর নিয়ম ভিন্ন হবে
  • একটি শিশুর বয়স যখন এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ হবে তখন তাদেরকে প্রতিদিন ছয় বার করে এই দুধ খাওয়াতে হবে এবং ৯০ মিলির ফিডারে তিন চামচ মিশাতে হবে। এর বেশি কখনোই দিবেন না।
  • বাচ্চার বয়স যখন আরেকটু বেশি হবে অর্থাৎ তিন থেকে চার সপ্তাহ হবে তখন তাদেরকে ১২০মিলে পানিতে চার চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ দিবেন এবং 24 ঘন্টার মধ্যে পাঁচবার করে খাওয়াবেন।
  • শিশুর বয়স যখন দুই মাস হবে তখন তার খাবারের চাহিদা আরো বেশি হবে। সে সময় তাকে ১৫০ মিলি ফিদারে ৫ চামচ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাঁচ বার খাওয়াবেন।
  • যখন শিশুর বয়স তিন মাস এবং ৪ মাস হবে এই দুই মাসে তাদেরকে ১৮০মিলির ফিদারে ছয় চামচ পরিমাণ ছয় চামচ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। রাত এবং দিন মিলে পাঁচ বার খাওয়াবেন।
  • বাচ্চার বয়স যখন পাঁচ মাস চলবে অর্থাৎ ছয় মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে ২১০ মিলির ফিডারে সাত চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে রাত এবং দিন মিলে পাঁচবার খাওয়াবেন।
ছোট বাচ্চাদের শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সের খাওয়ানোর নিয়ম এটাই। এর বেশি কখন খাওয়াবেন না তাহলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে এবং খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতার সাথে খাওয়াবেন যেন দুধ বাচ্চার গলায় আটকে না যায়। তাছাড়া অসতর্কতার সাথে খাওয়ালে বাচ্চার বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

সিমিল্যাক ১ খাওয়ার বয়স

শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য এই দুধ তৈরি করা হয়েছে। বাচ্চার বয়স যখন ছয় মাস পার হয়ে যাবে তখন আর তাদেরকে এই দুধ খাওয়ানো যাবে না। পৃথিবীতে কোন বাচ্চা জন্মের পরে যখন তার মায়ের দুধ খেতে না পারবে তখনই তাদেরকে সিমিল্যাক ১ খাওয়াতে হবে। একটি শিশুর বয়স যখন এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ হবে তখন তাদেরকে প্রতিদিন ছয় বার করে এই দুধ খাওয়াতে হবে

এবং ৯০ মিলির ফিডারে তিন চামচ মিশাতে হবে। এর বেশি কখনোই দিবেন না। বাচ্চার বয়স যখন আরেকটু বেশি হবে অর্থাৎ তিন থেকে চার সপ্তাহ হবে তখন তাদেরকে ১২০মিলে পানিতে চার চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ দিবেন এবং 24 ঘন্টার মধ্যে পাঁচবার করে খাওয়াবেন। শিশুর বয়স যখন দুই মাস হবে তখন তার খাবারের চাহিদা আরো বেশি হবে।


সে সময় তাকে ১৫০ মিলি ফিদারে ৫ চামচ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাঁচ বার খাওয়াবেন। যখন শিশুর বয়স তিন মাস এবং ৪ মাস হবে এই দুই মাসে তাদেরকে ১৮০মিলির ফিদারে ছয় চামচ পরিমাণ ছয় চামচ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। রাত এবং দিন মিলে পাঁচ বার খাওয়াবেন। বাচ্চার বয়স যখন পাঁচ মাস চলবে

অর্থাৎ ছয় মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে ২১০ মিলির ফিডারে সাত চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে রাত এবং দিন মিলে পাঁচবার খাওয়াবেন। আপনি যদি বাচ্চাকে সিমিল্যাক ১ খাওয়াতে চান তাহলে অবশ্যই এই নিয়মে খাওয়াতে হবে। এরপরও প্যাকেটের শরীরে যে নিয়ম লেখা থাকে তা ভালোভাবে একবার দেখে নিবেন।

সিমিল্যাক ১ বানানোর নিয়ম

যখন ছোট বাচ্চার জন্য দুধ তৈরি করা হবে তখন অবশ্যই আপনাকে সতর্কতার সাথে দুধ তৈরি করতে হবে এবং যেই ফিদারে খাওয়াবেন সেই ফিডার সব সময় গরম পানিতে ধুয়ে নিবেন যাতে করে সেখানে কোন রকমের জীবাণু না থাকে। ফিদার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো কোম্পানির যেসব ফিডার রয়েছে সেই ফিডারে খাওয়াবেন।

তাছাড়া যেকোনো কমা কোম্পানির ফিডারে খাওয়ালে জীবাণু থাকতে পারে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। প্রথমে বাচ্চাকে যেই পরিমাণ দুধ খাওয়াবেন সেই পরিমাণ পানি গরম করে নিবেন এরপর কিছু সময় রেখে দেবেন যাতে করে পানি এমন ঠান্ডা হয় যা বাচ্চা খেতে পারে। এরপর ফিডার ভালোভাবে গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন।

এক এবং দুই সপ্তাহের বাচ্চাদেরকে ৯০ মিলির ফিডারে তিন চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে খাওয়াবেন। তিন এবং চার সপ্তাহের বাচ্চাদের ১২০ মিলি ফিডারে চার চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে তাদের জন্য দুধ বানাবেন। বাচ্চার বয়স যখন দুই মাস হবে তখন ১৫০ মিলির ফিডারে ৫ চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ মিশাবেন।

বাচ্চার বয়স যে সময় তিন এবং চার মাস থাকবে তখন তাদেরকে ১৮০ মিলি ফিডারে ছয় চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে পান করাবেন। বাচ্চার বয়স যখন পাঁচ মাস হবে এবং ছয় মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকে 210 মিনিট ফিডারে সাত চামচ পরিমাণ সিমিল্যাক ১ মিশিয়ে পান করাবেন। দুধ বানানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালোভাবে খেয়াল করবেন যাতে কোন ভাবে গুড়োগুড়ো ভাব না থাকে।


সম্পূর্ণ যাতে পানির সাথে মিশে যায় এবং একেবারে তরল হয় যাতে করে বাচ্চা আরামে খেতে পারে। অন্যথায় গুঁড়ো জমা হয়ে থাকলে বাচ্চা খেতে পারবে না অথবা বাচ্চার গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

সিমিল্যাক ১ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যখন আপনি বাচ্চাদেরকে দুধ নিয়মিত অতিরিক্ত খাওয়াবেন তখন বাচ্চার মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় ডাক্তার আর পরামর্শ দেয়ার পরও বাচ্চাদের শরীরে ফর্মুলা দুধ মেলে না যার কারণে বাচ্চাদের অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। যদি আপনার বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পরে কোন রকমের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।

ডাক্তার যে মোতাবেক খাওয়াতে বলে সেই মোতাবেক খাওয়াবেন তাহলে আর সমস্যা হবে না। যদি তারপরও সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ করে দুধ চেঞ্জ করে নিবেন।

সিমিল্যাক ১ দাম

শূন্য থেকে ছয় বছর ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদেরকে সিমিল্যাক এক খাওয়ানো হয়।
  • 400 গ্রাম ওজনের সিমের একের দাম ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে।
  • ৮০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেটের সিমিল্যাক ১ এর দাম ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে।
  • ৮০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেটের সিমিলার এক গোল্ডের দাম ৩০০০ থেকে ৩১০০ টাকার মধ্যে।

কেনার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে দাম যাচাই-বাছাই করে নেবেন এবং মেয়াদ দেখে নেবেন। যদি এই দুধের মেয়াদ না থাকে তাহলে আপনার বাচ্চা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

উপসংহার

সবসময় চেষ্টা করতে হবে বাচ্চাদেরকে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর। যদি কোন কারণে তার সম্ভব না হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ফর্মুলা দুধের দিকে যাবেন।

আমার এ পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও সিমিল্যাক ১ দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

dfsfsdfdg