নার্ভের রোগের ব্যায়াম
আপনি কি নার্ভের রোগের ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে নার্ভের রোগের ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই নার্ভের রোগের ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নিচে আপনাদের জন্য নার্ভের সমস্যা কেন হয়, নার্ভ রোগের লক্ষণ কি কি এবং নার্ভের রোগের ব্যায়াম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই নার্ভের রোগের ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে নার্ভের রোগের ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ নার্ভের রোগের ব্যায়াম
নার্ভের সমস্যা কেন হয়
নার্ভের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হয়। স্নায়ু সমস্যা, যা স্নায়বিক ব্যাধি বা নিউরোপ্যাথি নামেও পরিচিত, তা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। স্নায়ুর শারীরিক আঘাত, যেমন দুর্ঘটনা বা খেলার আঘাত স্নায়ু টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। কিছু সংক্রমণ, যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, বা ছত্রাক সংক্রমণ, স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
এছাড়াও ভিটামিন বি 12, থায়ামিন (বি 1) বা ফোলেটের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে। বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে (যেমন, ভারী ধাতু, রাসায়নিক) বা নির্দিষ্ট ওষুধ (যেমন, কেমোথেরাপির ওষুধ) নার্ভের ক্ষতি করতে পারে। আবার নার্ভের সমস্যা বংশগত কারনে হতে পারে। কিছু ব্যক্তি উত্তরাধিকারসূত্রে জেনেটিক মিউটেশন বা প্রবণতা পায় যা তাদের স্নায়ুর সমস্যা সৃষ্টি করে।
নার্ভ রোগের লক্ষণ কি কি
নার্ভের রোগ, যা স্নায়ুকে প্রভাবিত করে বা স্নায়বিক ব্যাধি নামেও পরিচিত, বিভিন্ন উপসর্গের সাথে প্রকাশ পেতে পারে। স্নায়ু রোগের ধরন, এর অন্তর্নিহিত কারণ এবং প্রভাবিত স্নায়ুগুলির উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট লক্ষণগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। এখানে স্নায়ু রোগের সাথে যুক্ত কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছেঃ-
- তাপমাত্রা বা ব্যথা অনুভব করার ক্ষমতা হ্রাস
- স্নায়ু ব্যথা
- পেশী দুর্বলতা
- স্পর্শের প্রতি সংবেদনশীলতা
- ভারসাম্যহীনতা
- বমি
- জ্বর
- দেখার সমস্যা
- হাঁটার অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি।
নার্ভের রোগের ব্যায়াম
ব্যায়াম নির্দিষ্ট স্নায়ু রোগ বা স্নায়বিক অবস্থার পরিচালনায় একটি মূল্যবান ভূমি। কোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে, স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত, বিশেষত একজন যিনি নিউরোলজি বা ঔষধ বিশেষজ্ঞ। তাদের পরামর্শ নির্দিষ্ট অবস্থার জন্য ব্যায়ামের নিরাপত্তা এবং উপযুক্ততা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
শারীরিক ব্যায়াম স্নায়ুর কার্যকারীতে বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বিক্ষীপ্ত এবং তীব্র ব্যায়াম করার চাইতে নিয়মিত ব্যায়াম করা স্নায়ুর পক্ষে উপকারী। তাই প্রতিনিয়ত হালকা শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। হাটাচলা, দৌড়ানো, সাতার কাটা, সাইকেল চালানোসহ বিভিন্ন ধরণের ব্যায়াম করা নার্ভের রোগ সারাতে বা নার্ভকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর এধরণের ব্যায়াম করার শক্তি যদি না থাকে তাহলে যোগ ব্যায়াম করতে হবে। যোগ ব্যায়ামও নার্ভ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কি খেলে নার্ভ ভালো থাকে
নার্ভ ভালো রাখার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। পুষ্টিকর খাবার খেলে নার্ভ ভালো থাকে। কিন্তু কোন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেলে নার্ভ ভালো থাকবে সেটা জানা প্রয়োজন। যেসব খাবারে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি রয়েছে যেমন গোটা শস্য, মটরশুটি, বাদাম, পাতাযুক্ত সবুজ শাক, শিম মাছ, চর্বিহীন মাংস, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং সুরক্ষিত খাবার ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে।
নার্ভের সমস্যার সমাধান কি
নার্ভের সমস্যা সমাধানে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তিনি যা বলবেন সেভাবে চলতে হবে। পাশাপাশি নার্ভের সমস্যার সমাধান করতে চাইলে বেশি বেশি বাদাম খেতে হবে। বাদামে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি আছে। আর ভিটামিন বি নার্ভের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে নার্ভের সমস্যার সমাধান হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও হালকা শারীরিক ব্যায়াম যা উপরের অংশে বলা হয়েছে তা করলেও নার্ভের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আশা করি নার্ভের সমস্যার সমাধান কি বুঝতে পেরেছেন।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং নার্ভের রোগের ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে নার্ভের রোগের ব্যায়াম ছাড়াও নার্ভের সমস্যার সমাধান কি, কি খেলে নার্ভ ভালো থাকে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপুর্ণ তথ্য বেশি বেশি পড়তে ও জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, 21021.
জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url