শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় - প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

 শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনারা অনেকেই আছেন যারা শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় ও প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় এই বিষয়ে সম্পর্কে। 

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় ও প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় ও প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে আর বিলম্ব না করে শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় ও প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় - প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি কিসমিস খাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে জানতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় এর পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে নিচে জেনে নেওয়া যাক।

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

আমরা অনেকেই খোঁজ করে থাকি শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় ও প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়। শুকনো কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় মজবুদ করে ও হাড়ের ক্ষয় ও বাতের ব্যথা দূর করে। শুকনো কিসমিসে পটাশিয়াম আছে যা আমাদের শরীরের উচ্চমাত্রার সোডিয়ামকে নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুকনো কিসমিস ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

কিসমিসে কেটেচিন আছে, এই কেটেচিনের পলিফেলন যৌগ আছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ ধারণ করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কিসমিসের লোহার মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি আছে যা আপনার অনিদ্রা কাটি আপনাকে দিতে পারে শান্তির ঘুম। শুকনো কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় মজবুত করে। শুকনো কিসমিস দ্রুত শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করেন।

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় - প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়? কিসমিস অনেকেরই খুব প্রিয়।কিসমিস শরীরের জন্য একটি উপকার জিনিস। তাই আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকি শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় - প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটা কিসমিস খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন তাহলে এবার জেনে নিয়ে প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়।
  1. কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তের লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়।
  2. শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি।
  3. কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  4. প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়ায়।

কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কি হয় ?

শুকনো কিসমিস শরীরের পক্ষে উপকারীও বটে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা হার্টকে ভালো রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। কিসমিস ভিজিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কিসমিস শুকনো খাওয়ার থেকে ভিজিয়ে খাওয়া সব থেকে বেশি উপকারী।
তবে কিসমিস এমনি খাওয়ার থেকে ভিজিয়ে খাওয়ায় আরো উপকার রয়েছে। রাতভর কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজে দ্রবণীয় হয়ে যায় যা আমাদের শরীর আরো সহজে নিতে বা শোষণ করতে পারে। তাই আমরা যদি কিসমিস ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে কিসমিস সহ পানি পান করি মিলবে নানা উপকারিতা। কিসমিস ভিজিয়ে পানি পান করলে লিভার পরিষ্কার থাকে।

কিসমিস ভিজিয়ে পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। পাশাপাশি হজমে সহায়তা করে। আর আমরা এই উপকারগুলো পেতে পারি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই জল খেলে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে রক্ত পরিশোধিত হতে শুরু করে। পাশাপাশি ভালো থাকে কিডনিও।

বাদাম কিসমিস খেলে কি হয়

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক বাদাম কিসমিস খেলে কি হয়। বাদাম কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম কিসমিসের বিকল্প নেই। আপনার সকাল শুরু করুন বাদাম কিসমিসের সাথে। কারণ এই খাবারগুলিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে যা খুব দ্রুত আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। বাদাম ও বিষ জাতীয় খাবার হরমোন গুলোর ঠিকমতো কাজ করার জন্য কোলেস্টোরলের মাত্রা ঠিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

বাদাম জাতীয় খাবারের প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা, শরীরে কোলেস্টেরল তৈরিতে সাহায্য করে। বাদামে বেশি পরিমাণে চর্বি ও ক্যালোরি থাকে। বাদামের উপরে একটি শক্ত খোসা থাকে। এ খোচাকে ফেলে দেওয়া হয়। তবে আমাদের দেশে দোকানগুলোতে খোঁচা ছাড়া বাদাম কিনতে পাওয়া যায়। বাদামে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান থাকে।

আর কিসমিসে মূলত ভিটামিন , খনিজ , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য খাদ্য তালিকা গত ফাইবারগুলির মত বিভিন্ন পুষ্টিতে ভরপুর থাকে। যারা তাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার বিষয়ে সচেতন তারা বাদাম কিসমিস প্রতিনিয়ত খায়। আশা করি তাহলে আপনারা জানতে পেরেছেন বাদাম কিসমিস খেলে অনেক উপকার হয়।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

কিসমিস খুবই উপকারী। কারণে এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যে সামান্য খেলে পেট ভরে যায় এবং আমাদের মনে হয় যেন আমাদের পেট ভরে আছে। রাতের খাবারের পর কিসমিস খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।

রাতে খাবারের পর কিসমিস খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং লালসা প্রতিরোধ করে। যাতে আপনি অপ্রয়োজনীয় খাবার এড়িয়ে যান এবং আপনার ওজন বাড়ে না। এছাড়া কিশমিশে - ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে আপনার অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি পাই এবং আপনি হৃদরোগ , বাত , ডায়াবেটিস এবং প্রাইসই দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সাথে যুক্ত আলঝেইমার রোগ থেকে রক্ষা করতে পারেন।
যাদের নিয়মিত এসিডিটির সমস্যা থাকে বা ঘুম হয় না তাদের জন্য রাতে কিসমিস খাওয়া খুবই উপকারী। ঘুমের আগে কিসমিস খাওয়া শরীরে মেলাটোনিন, ট্রিপটোফ্যান এবং ফলেটের পরিমাণ বাড়ায় যা ঘুমের গুণমান উন্নত করে এবং স্নায়ু স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে শরীরে ব্যথা অভিযোগ করেন তাদের জন্য এটি উপকারী। আর এভাবে আমরা রাতে কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে উপকার পেতে পারি।

কিসমিস খেজুর খেলে কি হয়

কিসমিস খেজুর আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারী। খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি এমাইনো এসিড , শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি জবান দিতে সাহায্য করে। আর কিসমিসে থাকে কার্বোহাইড্র ও পটাশিয়াম। যা আমাদের হার্টকে ভালো রাখে।

নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। কিসমিসে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে এসিডিটির মাত্রা কমতে সময় লাগে না। কিসমিস খেজুর খেলে শরীরে ভিটামিন সি ও ডি ত্বক টানটান রাখতে সহায়তা করে।

আর এভাবে আমরা কিসমিস খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে নানাবিদ অসুখ থেকে মুক্তি পাই। যেমনঃ ক্যান্সার , দৃষ্টিশক্তি হীনতা , অ্যাসিডিটি সমস্যা ইত্যাদি। কিসমিস খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে আমরা এভাবেই অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। আশা করি কিসমিস খেজুর এর উপকারিতার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম

ইতোমধ্যে আমরা শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় - প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের এ ধাপটি হচ্ছে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
কিসমিস ভেজিয়ে খাওয়ার সঠিক নিয়ম:
  1. শুকনো কিসমিস খাওয়ার চাইতে ভেজানো কিসমিস খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তাই বলে শুকনো অবস্থায় একেবারে যে খাওয়া যাবে তা কিন্তু না। বাজার থেকে কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে ৫-৬ টি কিসমিস খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। প্রতিবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিবেন।
  2. বিশেষজ্ঞদের মতে, কিসমিসের পুষ্টিগুণ ষোল আনা পেতে চাইলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে খাওয়া উচিত। এক কাপ জলে ৮-১০ টি কিসমিস ভালো করে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। বেশি খন ভিজিয়ে রাখলে এর রং অনেক গারো দেখাবে। সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস গুলো খাবেন।
  3. কিসমিসের জলটা কিন্তু ফেলবেন না। সারারাত ভিজিয়ে রাখার ফলে জলেও কিসমিসের বেশ কিছু পুষ্টিগুণ মিশে গেছে। জলটা হালকা আচে একটু গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। কিসমিস ও এর জল খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে অন্য খাবার খাবেন।
  4. পোলাও, ফিরনি, সেমাই, পায়েস, জর্দা, কোরমা ইত্যাদি খাবার মুখরোচক করতে কিসমিসের জুড়ী নেই। এসব খাবারে কিসমিস দিয়ে রান্না করতে পারেন। তাতে রুচিও বাড়বে আবার দেহ পুষ্টি পাবে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় ও প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এ সকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

dfsfsdfdg