ওরাডেক্সন খাওয়ার নিয়ম- ওরাডেক্সন এর উপকারিতা- ওরাডেক্সন কি কাজ করে
আপনি কি ওরাডেক্সন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে ওরাডেক্সন খাওয়ার নিয়ম এবং ওরাডেক্সন কি কাজ করে সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন ওরাডেক্সন এর উপকারিতা এবং ওরাডেক্সন ইন প্রেগন্যান্সি ও ওরাডেক্সন এর পার্শ্বপ্রতিকরা সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
এনার্জি এজমা এইসবের জন্য অনেক রকমের ওষুধ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ওরাডেক্সন। রোগীর অবস্থা বুঝে ডাক্তাররা অনেক সময় এই ওষুধ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই ওষুধ খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত এলার্জি অ্যাজমা বা এই জাতীয় যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো ভালো হয়ে যায়।
ওরাডেক্সন খাওয়ার নিয়ম
কোন ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ না খান সেক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে অসুস্থ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। প্রতিটি ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম রয়েছে। তেমনি ভাবে ওরাডেক্সন খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি এই ওষুধ খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্ক যেসব রোগী রয়েছেন তারা প্রতিদিন নিজেদের অসুস্থতার মাত্রা উপলক্ষ করে ১ মি গ্রা থেকে ১০ মি গ্রা পর্যন্ত খাওয়া যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পূর্ণ ভিন্ন। শিশুদের যদি সমস্যার জন্য এ ওষুধ খাওয়ানো হয় তাহলে সর্বপ্রথম লক্ষ্য রাখতে হবে তার শরীরের ওজনের দিকে লক্ষ্য রেখে তাদেরকে এই ওষুধ খাওয়াতে হবে।
শিশুদেরকে এ ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে 0.03 থেকে 0.20 মি গ্রা পর্যন্ত খাওয়ানো যায়। খাবার খাওয়ার পরে এই ওষুধটি খাবেন। খালি পেটে খাওয়া থেকে সবসময় বিরত থাকতে হবে। এই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে বিষয়ে জরুরি তা হচ্ছে আপনার বয়সের ওপর এবং রোগের তীব্রতা কতটুকু সেদিকে লক্ষ্য রেখে তারপরে খেতে হবে।
খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন এতে করে আপনার জন্য ভালো হবে। ডাক্তার আপনার রোগের তীব্রতা এবং বয়সের দিকে লক্ষ্য করে যে পরিমাণ খেতে বলবে সেই পরিমাণ অনুপাতে খাবেন তাহলে আপনি বেশি উপকৃত হতে পারবেন। কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত খেয়ে নেবেন না।
ওরাডেক্সন কি কাজ করে
এই ওষুধ কিছু রোগের কারণে ডাক্তাররা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। চলুন এবার আমরা জানি এ ওষুধ খাওয়ার ফলে কি কি কাজ হয়।
- ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যও এ ওষুধ খাওয়া যায় তবে সব ক্যান্সারের জন্য নয়। ক্যান্সারের অনেকগুলো প্রকার রয়েছে। কিছু কিছু ক্যান্সারের জন্য এ ওষুধ খাওয়া যায়।
- প্রদাহ কমায়। শরীরে অনেক রকমের প্রদাহ সৃষ্টি হয় প্রদাহ রোগের কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে। শরীরে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে গেলে এ ওষুধ খেলে প্রদাহোর মাত্রা কমে যায়।
- এ ওষুধ এলার্জি রিউমাট ওয়েট এবং অন্যান্য প্রধানিত রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়।
- চর্মরোগ কমাতেও এ ওষুধ সাহায্য করে।
- কিডনিজনিত রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় ডাক্তাররা এ ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
- চোখের সমস্যা, অর্থাৎ চোখের মধ্যে প্রধান জনিত রোগের প্রভাব দেখা দিলেও এ ওষুধ খাওয়া যায়।স্বাসতন্ত্রের মতো রোগের কারণে ও ডাক্তাররা এ ওষুধ খেতে।
- অ্যাজমা।
- অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস।
- ওষুধের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা।
- বিভিন্ন প্রকার রাইনাইটিস।
- সেরাম সিকনেস।
- লুপাস ইরাইদেমাটোসাস।
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।
- বুলাস ডার্মাটাইটিস হারপেটিফরমিস।
- এক্সফলিয়েটিভ ইরাইথ্রোডার্মা।
- মাইকোসি ফাংগয়েডস।
- পেমফিংগাস।
- তীব্র পর্যায়ে ইরাইদেমা মাল্টিফরমি (স্টিভেন জনসন সিন্ড্রোম)।
- প্রাথমিক বা দ্বিতীয় পর্যায়ে এ্যাডরেনোকর্টিকাল ঘাটতি।
- জন্মগত এ্যাডরেনাল হাইপারপ্লাসিয়া।
- ক্যানসারজনিত হাইপারক্যালসিমিয়া।
- ননসাপুরেটিভ থাইরয়েডাইটিস।
- রিজিওনাল এন্টারাইটিস
- আলসারেটিভ কোলাইটিস।
- একোয়ার্ড (অটোইমিউন) হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া।
- জন্মগত (ইরাইথ্রয়েড) হাইপোপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া।
- ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পুরপুরা।
- সেকেন্ডারি থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি নির্দেশিত।
- লিউকেমিয়া।
- লিম্ফোমা।
- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের তীব্র পর্যায়।
- মস্তিষ্কের প্রাথমিক অথবা মেটাস্টেটিক টিউমারের সাথে ইডিমা থাকলে।
- ক্রোনিওটোমি বা মস্তিষ্কের আঘাতে।
- টেম্পোরাল আর্টারাইটিস।
- ইউভিয়াইটি।
এই ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের মধ্যে এইসব কাজগুলো করবে। এটা ছোট একটি ওষুধ হলেও এ ওষুধের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি।
ওরাডেক্সন এর উপকারিতা
এই ঔষধ খাওয়ার ফলে অনেক রোগ থেকে আরাম পাওয়া যায়। এই ওষুধ খেলে আপনার শরীরে এমন কিছু উপকারিতা প্রদান করবে যা আপনি অন্য ওষুধ খাওয়ার ফলে পাবেন না।
- এলার্জি জনিত সমস্যার কারণে এই ওষুধ খাওয়া যায়। এলার্জি ছাড়াও এলার্জির মাত্রা বৃদ্ধি হয়ে গেলে এই ওষুধ খেলে এলার্জি এবং এলার্জির প্রধান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- চর্ম রোগের জন্য চর্মরোগ জাতীয় যেসব সমস্যা রয়েছে সেসব সমস্যার জন্য এ ওষুধ খেলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার জন্য এ ওষুধ অনেক বেশি কার্যকর।
- মস্তিষ্কে আঘাত লাগা বা টিউমারের সাথে ইডিমা থাকলে এই ওষুধ খেলে খুব তাড়াতাড়ি উপকৃত হওয়া যায়।
- চক্ষু জনিত সমস্যার কারণে অর্থাৎ আর্টারাইটিস এবং চোখের বিভিন্ন প্রদাহ জনিত সমস্যার কারণে এ ওষুধ খেলে উপকৃত হওয়া যায়।
- কিডনিজনিত সমস্যার ক্ষেত্রেও এ ওষুধ খাওয়ার জন্য ডাক্তাররা বলে।
- কয়েক প্রকার ক্যান্সারের জন্য এই ঔষধ খাওয়া যায়। সব রকমের ক্যান্সারের জন্য এই ওষুধ না তবে কিছু কিছু প্রকার ক্যান্সারের জন্য এ ওষুধ খাওয়া যায়।
- শ্বাসতন্ত্রের রোগের ক্ষেত্রেও এ ওষুধ খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এই সমস্ত অসুস্থতা বাদেও আরো এমন কিছু অসুস্থতা রয়েছে যেগুলোর বিপরীতে এই ওষুধ খেলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এবং রোগী উপকৃত হয়। বিশেষ করে রোগীরা সুস্থ হতে ওষুধ অনেক বেশি রোগীদেরকে উপকার করে সে রোগগুলো হচ্ছে
- অ্যাজমা।
- অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটি।
- ওষুধের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা।
- বিভিন্ন প্রকার রাইনাইটিসসেরাম সিকনেস।
- লুপাস ইরাইদেমাটোসাস।
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।
- বুলাস ডার্মাটাইটিস হারপেটিফরমিস।
- এক্সফলিয়েটিভ ইরাইথ্রোডার্মা।
- মাইকোসি ফাংগয়েডস।
- পেমফিংগাস।
- তীব্র পর্যায়ে ইরাইদেমা মাল্টিফরমি (স্টিভেন জনসন সিন্ড্রোম।
- প্রাথমিক বা দ্বিতীয় পর্যায়ে এ্যাডরেনোকর্টিকাল ঘাটতি।
- জন্মগত এ্যাডরেনাল হাইপারপ্লাসিয়া।
- ক্যানসারজনিত হাইপারক্যালসিমিয়া।
- ননসাপুরেটিভ থাইরয়েডাইটিস।
- রিজিওনাল এন্টারাইটিস।
- আলসারেটিভ কোলাইটিস।
- একোয়ার্ড (অটোইমিউন) হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া।
- জন্মগত (ইরাইথ্রয়েড) হাইপোপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া।
- ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পুরপুরা।
- সেকেন্ডারি থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি নির্দেশিত।
- লিউকেমিয়া।
- লিম্ফোমা।
- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের তীব্র পর্যায়
- মস্তিষ্কের প্রাথমিক অথবা মেটাস্টেটিক টিউমারের সাথে ইডিমা থাকলে।
- ক্রোনিওটোমি বা মস্তিষ্কের আঘাতে।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন এ ওষুধ খাওয়ার ফলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। আপনি এই ওষুধের উপকারিতা পেতে খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন তাহলে আরো বেশি উপকৃত হতে পারবেন।
ওরাডেক্সন ইন প্রেগন্যান্সি
যেসব মহিলা গর্ভবতী আছে বা বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়াচ্ছে এ অবস্থায় তারা এ ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকায় ভালো। এই সময় এই ওষুধ খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য যারা গর্ভবতী মহিলা আছেন তারা গর্ভবতী অবস্থায় কোনোভাবেই এই ওষুধ খাবেন না এতে করে আপনার উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি দেখা দেবে।
গর্ভবতী অবস্থায় শরীরের অবস্থা এমনিতেই ভিন্ন থাকে তার ওপর যদি এই ওষুধ খাওয়া হয় তাহলে শরীরের ভেতরে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যার ফলে একজন গর্ভবতী মহিলার অবস্থা অনেকটাই অবনতি হবে এতে করে পেতে থাকা বাচ্চার উপরে তার প্রভাব পড়বে। গর্ভবতী অবস্থায় এই ওষুধ খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলা
এবং পেটে থাকা বাচ্চা উভয়েরে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গর্ভবতী অবস্থায় এই ওষুধকে এড়িয়ে চলুন।
ওরাডেক্সন এর পার্শ্বপ্রতিকরা
এই ওষুধ খাওয়ার পরে যখন এই ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হবে তখন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কিছু মানুষ আছে তাদের শরীরে সেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দেয়া সম্ভাবনা থাকে। অধিকাংশ সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না তারপরও কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো হল-
- চোখে ঝাপসা দেখা।
- ডায়রিয়া হওয়া।
- বমি বমি ভাব হওয়া অনেক ক্ষেত্রে বমি হয়ে যাবে।
- মাথা ব্যাথা হতে পারে এবং মাথার মধ্যে এক ধরনের ঘোর সৃষ্টি হবে।
- ঘনঘন মলত্যাগ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিবে।
- শরীরের ওজন বৃদ্ধি হতে থাকবে।
- এই ওষুধ একাধিক সময় ধরে খেতে থাকলে শরীরে চর্বি জমে যায়।
- উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
- স্কিনে রাস বের হতে পারে।
- অল্প বয়সে কিডনি বিকল হওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
- মুখে ব্রণ বের হতে পারে।
- বেশির দুর্বলতা দেখা দেবে।
- শরীরে খিচুনি তৈরি হতে পারে।
যদি আপনার মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মধ্যে কোন একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যে পরামর্শ দেয় সে পরামর্শ মতাবেক চলবেন তাহলে আপনার ভিতর থেকে এসে সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কেটে যাবে।
উপসংহার
এ ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যদি খাওয়ার পরামর্শ দেয় তাহলে খাবেন। কখনো নিজের মন মত কিনে এনে খাবেন না। এতে করে আপনার ক্ষতি হতে পারে তাই অবশ্যই এ ওষুধ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।
জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url