বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম ও খাওয়ার নিয়ম- বয়স,পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া,দাম
প্রিয় পাঠক আপনি কি বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম ও বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন বায়োমিল ১ দাম কত ও বায়োমিল ১ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং বায়োমিল ১ খাওয়ার বয়স সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়া পোস্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
একটি শিশু পৃথিবীতে আসার পরে যখন মায়ের দুধ ঠিক ভাবে খেতে পারে না তখন তাদেরকে গুঁড়া দুধ খাওয়ানো হয়। গুড়া দুধ অনেক কোম্পানির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হচ্ছে বায়োমিল। বায়োমিল দুধ বাচ্চাদের শরীরের দিকে লক্ষ্য রেখে বানানো হয়েছে যার কারণে এই দুধ বাচ্চাদেরকে খাওয়ালে বাচ্চাদের জীবনধারণ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
এ পোষ্টের মধ্যে বায়োমিল দুধ সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হবে
বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম
বায়োমিল ১ মূলত সেসব বাচ্চাদের গর্ভপাতের পর পর খাওয়ানো হয় যেসব বাচ্চা তার মা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ পাই না। বায়োমিল একটি পাউডার জাতীয় দুধ। এই দুধ একেবারেই ছোট বাচ্চাদের জন্য 0 বছর বয়স থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদেরকে এই দুধ খাওয়ানো যায়। শূন্য থেকে বাচ্চার বয়স ৬ মাস পর্যন্ত বায়োমিল ১ খাওয়ানো যায়।
- যে সকল বাচ্চার বয়স এক থেকে দুই সপ্তাহ তাদেরকে দিনের মধ্যে ছয় বার এই দুধ কুসুম গরম পানির সাথে দুই থেকে তিন চামচ মিশিয়ে পান করাতে হয়। এক থেকে দুই সপ্তাহ বাচ্চার জন্য এর বেশি কখনই দুধ দিবে না তাহলে বাচ্চার জন্য সমস্যা হতে পারে।
- যখন বাচ্চার বয়স আরেকটু বেশি হবে অর্থাৎ তিন থেকে চার সপ্তাহ তখন তাদেরকে দিনের মধ্যে ছয় বারের স্থানে পাঁচবার করে খাওয়াতে হবে এবং তিন চামচের স্থানে চার চামচ ব্যবহার করতে হয়।
- দুই মাস বয়সের বাচ্চার জন্য প্রতিদিন বায়োমিল ১ পাঁচ বার করে খাওয়ানো যাবে। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানির সাথে পাঁচ চামচ করে গুঁড়ো দুধ মিশাতে হবে।
- বাচ্চার বয়স যখন তিন মাস হবে তখনও তাদেরকে প্রতিদিন পাঁচবার করে খাওয়াতে হবে। এর বেশি খাওয়ানো যাবে না। তবে তিন মাস বয়সের বাচ্চার জন্য ছয় চামচ করে বায়োমিল ১ পানির সাথে মিক্স করতে হবে।
- যেসময় বাচ্চার বয়স আরেকটু বেশি হবে যেমন তিন চার থেকে পাঁচ মাস বা পাঁচ মাস থেকে একটু বেশি সেই সময় তাদেরকে দিনে পাঁচবার খাওয়াবে কিন্তু ছয় চামচের পরিবর্তে তখন সাত চামচ গুঁড়ো দুধ পানির সাথে মিশাবে।
- যখন ৬ মাস হয়ে যাবে তখন থেকে আর বায়োমিল ১ খাওয়ানো যাবে না। ৬ মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি এই নিয়ম অনুসারে তাদেরকে বায়োমিল ১ খাওয়াতে পারবেন।
বাচ্চাদেরকে যখন ফিডারে দুধ খেতে দিবেন তখন পানি অবশ্যই কুসুম গরম রাখবেন অথবা দুধ গুলানো যাবে এই পরিমাণ পানি গরম করবেনঅতিরিক্ত পানি গরম করার কারণে বাচ্চা খেতে পারবে না এবং দুধের পুষ্টিগুণ অনেকটা নষ্ট হয়ে যাবে। বাচ্চাদেরকে গুঁড়ো দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতার সাথে খাওয়াতে হবে
কারন এটি একটি গুঁড়ো দুধ অসতর্কতা বসত খাওয়ানোর কারণে বাচ্চার বিভিন্ন রকমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যতটুকু নিয়মে বলা হয় বাচ্চার বয়স অনুযায়ী ততটুকুই খাওয়াবেন।এর বেশি কখনোই গুঁড়ো দুধ পানির সাথে ব্যবহার করবেন না। এই দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিবেন এতে করে বাচ্চার জন্যই ভালো হবে।
বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম
বায়োমিল ১ শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য খাওয়ানো হয়। বিভিন্ন পর্যায়ে বাচ্চাদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ভাবে এই দুধ বানাতে হয়। এক বা দুই সপ্তাহে বাচ্চাদেরকে আপনি যদি এই দুধ খাওয়াতে চান তাহলে কুসুম গরম পানিতে দুই থেকে তিন চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে তাদেরকে খাওয়াবেন।
যখন বাচ্চার বয়স তিন বা চার সপ্তাহ হবে তখন আরেক চামচ বেশি দিতে হবে অর্থাৎ চার চামচ পরিমাণ দিবেন। বাচ্চার বয়স দুই মাস হলে তখন কুসুম গরম পানির সাথে পাঁচ চামচ বায়োমিল ১ মিশিয়ে খাওয়াবেন। বাচ্চার বয়স যেসময় তিন মাস হবে তখন তাদের জন্য ফিডার তৈরি করলে ছয় চামচ পরিমাণ বায়োমিল এক পানির সাথে মেশাবেন।
বাচ্চার বয়স চার থেকে পাচ মাস হলে সেসময় পরিমাণ আরেকটু বেশি হবে তখন তাদেরকে সাত চামচ পরিমাণ বায়োমিল ১ কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন। এভাবে আপনি ছয় মাস পর্যন্ত তাদেরকে খাওয়াতে পারবেন। দুধ বানানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সতর্ক থাকতে হবে যেন যে নিয়ম বলা হলো এর বেশি না হয়।
এর বেশি হলে বাচ্চার পেটে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং পানি নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন পানি নিবেন যাতে করে বাচ্চা খেতে পারে এবং জিব্বা পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা না থাকে। অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা কখনোই নিবেন না। অতিরিক্ত গরম নিলে বাচ্চা খেতে পারবেনা এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি দিলে বাচ্চা অসুস্থ হবে তাই সব সময় মাঝারি গরম অর্থাৎ কুসুম গরম পানি নিবেন তাহলে বাচ্চা আরামে খেতে পারবে।
বায়োমিল ১ খাওয়ার বয়স
মায়ের দুধের বিকল্প দুধ কখনো কোন দুধ হতে পারে না। এরপরও যখন কোন সমস্যার কারণে শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খেতে না পারে অথবা মায়েরা তাদের শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে না পারে তখন ডাক্তাররা তাদেরকে বিভিন্ন রকম পাউডার দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেসব পাউডার দুধ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বায়োমিল।
বায়োমিল এক খাওয়ানোর বয়স ভিন্ন। বায়োমিল ২ খাওয়ানোর বয়স ভিন্ন এবং বায়োমিল ৩ খাওয়ানোর বয়স ভিন্ন। প্রতিটি প্রকারের দুধ খাওয়ানোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন বয়সের প্রয়োজন হয়। বায়োমিল 1 হচ্ছে শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। জন্মের পরে যেসব শিশুরা অর্থাৎ জন্মের প্রথম দিন থেকে 6 মাস বয়স পর্যন্ত যেসব শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খেতে পারে না
তাদেরকে খাওয়ানো হয়। বায়োমিল এক এর মধ্যে এমন কিছু পুষ্টিগণ উপাদান রয়েছে যেগুলো একটি বাচ্চা শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি এবং ভিটামিন যোগাতে সাহায্য করে। এই দুধ খাওয়ানোর ফলে বাচ্চা শরীরে রোগ প্রতিরোক্ষ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। বায়োমিল 1 শিশুদের জন্য অনেক উপকারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে।
আপনি যদি আপনার শিশুদেরকে বায়োমিল এক খাওয়াতে চান তাহলে অবশ্যই শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সের মধ্যে খাওয়াবেন। ছয় মাস পার হয়ে গেলে কখনো তাদেরকে দুধ খাওয়াবেন না।
বায়োমিল ১ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ছোট বাচ্চাদের বায়োমিল ১ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্য সতর্কতার সাথে খাওয়াতে হবে কারণ তারা একেবারেই নবজাতক শিশু যার ফলে যখন অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ানো হবে বা অসতর্কতার সাথে খাওয়ানো হবে তখন তাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে। এমনকি আপনি যদি পরিমাণের তুলনায় বেশি তাদের খাওয়ান তাহলে মৃত্যু হতে পারে।
২০১৯ সালে খুলনায় দুইটি জমজ শিশু বায়োমিল দুধ পান করার কারণে মৃত্যু হয়েছিল। কোন খাবার বা বায়োমিল দুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তখনই দেখা দিবে যখন আপনি নিয়ম মত খাওয়াবেন না বা পরিমাপের তুলনায় অনেক বেশি খাওয়াবেন এজন্য অবশ্যই আপনার উচিত হবে বাচ্চাদেরকে যে কোন কিছু খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতার সাথে খাওয়ানোর
তাহলে তাদের কোন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। যদি আপনি দেখেন তাদের পেটে ঠিক ভাবে হজম হচ্ছে না বা পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন তারপর ডাক্তার যেভাবে খাওয়ানোর কথা বলবে সেভাবে খাওয়াবেন তাহলে আর কোনরকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
কখনোই নিজের মনগড়া এবং অতিরিক্ত খাওয়াবেন না তাহলে আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্ভাবনা থাকবে না
বায়োমিল ১ দাম কত
বায়োমিল ১ চার রকম ওজনের প্যাকেটে বিক্রি হয়। প্রত্যেকটি ওজনের দাম ভিন্ন।
- ১৮০ গ্রাম বায়োমিল ১ পাউডার দুধের দাম ২২৫ টাকা।
- ৩৫০ গ্রাম বায়োমিল ১ পাউডার দুধের দাম ৪৫০ টাকা।
- হাফ কেজি অর্থাৎ ৫০০ গ্রাম বায়োমিল ১ গুঁড়ো দুধের দাম ৮২০ টাকা।
- এক কেজি বায়োমিল ১ নিতে চান তাহলে দাম হবে ১৬৪০ থেকে ১৬৫০ টাকা।
মার্কেটে বায়োমিল ১ এর দাম সারা বছর এমনই থাকে তারপরও আপনি দোকানে কিনতে গেলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে মেয়াদ এবং দাম দেখে কেনা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এমন দুধ নিয়ে আসা হয় যার মেয়াদ খুব বেশিদিন থাকে না যার কারণে বাচ্চাদেরকে ঠিকভাবে খাওয়ানো যায় না এবং মনের মধ্যে কেমন একটা খুঁতখুত কাজ করে
এজন্য অবশ্যই আপনি দুধ কেনার আগে মেয়াদ ঠিকভাবে দেখে নিবেন তাহলে আপনার আর টাকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এবং আপনার বাচ্চার জীবনও নিরাপদ থাকবে।
বায়োমিল ১ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর| FAQ
বায়োমিল ১ খাওয়ানো কি বাচ্চাদের জন্য উপকারী?
ডাক্তাররা বাচ্চাদেরকে এ দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ যখন কোন সমস্যার কারণে মায়ের বুকের দুধ না পায় তখন তাদেরকে এই দুধ খাওয়ানো হয় এ দুধ বাচ্চাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং বাচ্চাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখতেও সাহায্য করে
কত মাস বয়সের শিশুদেরকে বায়োমিল ১ খাওয়ানো হয়?
শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সের শিশুদেরকে বায়োমিল 1 খাওয়ানো হয়ে থাকে ছয় মাস হওয়ার পরে তাদেরকে এ দুধ খাওয়ানো উচিত হবে না বাচ্চার বয়স ৬ মাস হওয়ার পরে তাদেরকে বায়োমিল ২ খাওয়াতে হবে এবং ছয় মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে বায়োমিল ১ খাওয়াতে হবে
বায়োমিল দুধ কি শিশুর জন্য ভালো?
বায়োমিল দুধ অবশ্যই শিশুদের জন্য ভালো। শিশুদেরকে দুধ খাওয়ানোর পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার পরামর্শ দিলে তবে খাওয়াবেন তাহলেই তা আপনার বাচ্চার জন্য ভালো হবে।
বায়োমিল 1 এর দাম কত?
- ১৮০ গ্রাম বায়োমিল ১ পাউডার দুধের দাম ২২৫ টাকা।
- ৩৫০ গ্রাম বায়োমিল ১ পাউডার দুধের দাম ৪৫০ টাকা।
- হাফ কেজি অর্থাৎ ৫০০ গ্রাম বায়োমিল ১ গুঁড়ো দুধের দাম ৮২০ টাকা।
- এক কেজি বায়োমিল ১ নিতে চান তাহলে দাম হবে ১৬৪০ থেকে ১৬৫০ টাকা।
বায়োমিল ১ খাওয়ালে কি কোন ক্ষতি হয়?
এ দুধ খাওয়ানোর পরে যদি আপনার বাচ্চার মধ্যে কোন রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় অর্থাৎ পেট ব্যথা ঠিকমতো হজম না হওয়া। ডায়রিয়া হয়ে যাওয়া। বাচ্চা ঠিকমতো না খায়। বমি করে দেয় এসব সমস্যাগুলো দেখা দিলে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। অনেক সময় বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ানোর কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়।
উপসংহার
যখন কোনোভাবেই বাচ্চাকে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো না যায় তখনই তাদেরকে এই দুধ খাওয়াবেন। বাচ্চা তার মায়ের বুকের দুধ পাওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে কখনোই এই দুধ বা কোন ফর্মুলা দুধ খাওয়াবেন না এতে করে বাচ্চার জন্য ক্ষতি হবে। আমার এই পোস্টে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন।
জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url