এ্যাটোজ সিনিয়র এর কাজ কি- খাওয়ার নিয়ম,দাম,পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রিয় পাঠক আপনি কি এ্যাটোজ সিনিয়র এর কাজ কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে এ্যাটোজ সিনিয়র এর কাজ কি এবং Atoz Senior খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন Atoz Senior এর দাম কত এবং Atoz Senior bangla সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
খাবারের প্রতি রুচি বাজাতে এবং শরীরকে পুষ্টিকর করে তুলতে ডাক্তাররা বিভিন্ন রকমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। একেক জন একেক রকমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়। আবার একেক জন একেক রকমের ওষুধ খেয়ে থাকে। খাবার রুচি বাড়ানো বা শরীর ঠিক করার অনেকগুলো ওষুধের মধ্যে একটি হচ্ছে এ্যাটোজ সিনিয়র।
এই ওষুধ শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
Atoz Senior খাওয়ার নিয়ম
কোন ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। নিয়মের বাইরে কখনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। আপনি যদি নিয়ম মত না খান সেক্ষেত্রে আপনি উপকৃত হতে পারবেন না বরং তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে। Atoz Senior এই ওষুধটি খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
যাদের বয়স ৪৫ বছরের উপরে তারাই শুধু এই ওষুধ খেতে পারবে 45 বছরের নিচে যারা রয়েছে তারা কোনভাবে এই ঔষধ খাবে না। ৪৫ বছরের নিচে যারা রয়েছে তাদের জন্য এ্যাটোজ প্রিমিয়াম রয়েছে। এ ওষুধ খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নেই। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে এ ওষুধ সকালে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
দুপুরে অথবা রাত্রে খাবেন দুপুরে অথবা রাত্রে খাবার খাওয়ার পরে এই ওষুধ খাবেন তাহলে আপনি বেশি উপকৃত হতে পারবেন। এই ওষুধ খাওয়ার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেয়ে নেবেন যাতে করে তা আপনার পাকস্থলীতে সহজেই পৌঁছে যায়। প্রতিদিন একটি করে এ ওষুধ খাবেন একটির বেশি কখনই খাওয়া যাবে না।
এ ওষুধ খাওয়ার পর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যদি খাওয়ার পরামর্শ দেয় তাহলে খাবেন অন্যথায় নিজে থেকে আগে খেতে যাবেন না।
এ্যাটোজ সিনিয়র এর কাজ কি
৪০ থেকে ৪৫ বছরের পরে মানুষের শরীর দুর্বল হতে থাকে। শরীরের ভিতরে ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম আরো যেসব ভিটামিন রয়েছে সেগুলোর ঘাটতি দেখা দেয় এতে করে শরীর দুর্বল হয় মাথা ঘুরা বেড়ে যায় আগের মত কোন কাজ করা শক্তি থাকে না শারীরিকভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়।এই সকল সমস্যা দূর করার জন্য এ্যাটোজ সিনিয়র তৈরি করা হয়েছে।
45 বছরের পরে যারা দুর্বল হয়ে যায় শরীরে ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম আরো যাবতীয় সবকিছুর ঘাটতি রেখে দেবে তখন তারা এই ওষুধ খাবে। এ ওষুধের মধ্যে এ টু জেড সকল রকমের ভিটামিন রয়েছে যার কারণে এ ওষুধ খাওয়ার ফলে খুব দ্রুতই শরীরে যত রকমের ভিটামিন ও মিনারের ঘাটতি রয়েছে সে ঘাটতি গুলো পূরণ হয়ে যায়।
ট্যাবলেট এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ রয়েছে ৩৫০০ আইয়ু। যেখানে ভিটামিন সি ব্যবহার করা হয়েছে ৬০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন ডি ব্যবহার করা হয়েছে 400iu। এরকম প্রায় বিশ ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল এর ট্যাবলেট মানুষের শরীরের দুর্বলতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকারী। প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে-
- ভিটামিন এ ৩৫০০ আইইউ।
- ভিটামিন সি ৬০ মি.গ্রা.।
- ভিটামিন ডি ৪০০ আইইউ।
- ভিটামিন ই ৪৫ আইইউ।
- ভিটামিন কে ১০ মাইক্রোগ্রাম।
- থায়ামিন ১.৫ মি.গ্রা.।
- রিবোফ্লাবিন ১.৭ মি.গ্রা.।
- নিয়াসিন ২০ মি.গ্রা.।
- ভিটামিন বি৬ ৩ মি.গ্রা.।
- ফলিক এসিড ৪০০ মাইক্রোগ্রাম।
- ভিটামিন বি১২ ২৫ মাইক্রোগ্রাম।
- বায়োটিন ৩০ মাইক্রোগ্রাম।
- প্যানটোথেনিক এসিড ১০ মি.গ্রা.।
- ক্যালসিয়াম ২০০ মি.গ্রা.।
- ফসফরাস ৪৮ মি.গ্রা.।
- আয়োডিন ১৫০ মাইক্রোগ্রাম।
- ম্যাগনেসিয়াম ১০০ মি.গ্রা.।
- জিংক ১৫ মি.গ্রা.।
- সেলেনিয়াম ২০ মাইক্রোগ্রাম।
- কপার ২ মি.গ্রা.।
- ম্যাংগানিজ ২ মি.গ্রা.।
- ক্রোমিয়াম ১৫০ মাইক্রোগ্রাম।
- মলিবডেনাম ৭৫ মাইক্রোগ্রাম।
- কোরাইড ৭২ মি.গ্রা.।
- পটাসিয়াম ৮০ মি.গ্রা.।
- বোরন ১৫০ মাইক্রোগ্রাম।
- নিকেল ৫ মাইক্রোগ্রাম।
- সিলিকন ২ মি.গ্রা.।
- ভ্যানাডিয়াম ১০ মাইক্রোগ্রাম।
- লিউটিন ২৫০ মাইক্রোগ্রাম।
- লাইকোপিন ৩০০ মাইক্রোগ্রাম।
সুতরাং আপনার বাসায় যদি কোন বৃদ্ধ মানুষ থাকে অথবা ৪০ থেকে ৪৫ বছরের উপরে মানুষটাকে এবং যদি তাদের শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয় তাহলে তাদেরকে এই ওষুধ খাওয়াবেন তাহলে তারা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। এ ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যদি তার শরীরের অবস্থা দেখে এই ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেয়
তাহলে খাবে আর যদি অন্য কোন ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে তাহলে সেই ট্যাবলেট খাবে।
Atoz Senior এর দাম কত
আপনি আপনার আশেপাশে যে কোন ফার্মেসিতে এই ওষুধ পাবেন। কেনার আগে অবশ্যই সে ওষুধের মেয়াদ আছে নাকি তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে এবং ওষুধটি সরকার অনুমোদিত কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।
- এ ওষুধের প্রতি পিসের দাম ১৩ টাকা করে।
- সিরাপের দাম 120 টাকা।
আপনার থেকে কোন দোকানে হয়তো দুই এক টাকা বেশি চাইতে পারে। তাই দামের দিক দিয়ে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।
Atoz Senior এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এ ওষুধ খাওয়ার ফলে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শরীরের মধ্যে দেখা দেয় না। এই ওষুধটি সম্পন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। মাঝেমধ্যে ওষুধ খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য ডাক্তাররা অনেক সময় এ ওষুধ খাওয়ার পরে একটি গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়। আরো দুইটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা একেবারে বিরল।
খুব কম সংখ্যক মানুষের এই সমস্যাগুলো দেখা যায় তা হচ্ছে ডায়রিয়া হওয়া এবং ত্বক হলদে হয়ে যাওয়া। এ সমস্যাগুলো তেমন একটা দেখা যায় না। এরপরও যদি আপনার মধ্যে কোন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যে পরামর্শ দেয় সে পরামর্শ মোতাবেক চলবেন তাহলে আর আপনার কোন কোন রকমের ক্ষতি হবে না।
এই ওষুধকে অবশ্যই শিশুদের নাগাল থেকে বাইরে রাখবেন কারণে ওষুধ শিশুদের জন্য নয়।
Atoz Senior bangla
এই ওষুধটি ৪৫ বছরের বয়সের উপরে যারা রয়েছে তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ৪৫ বছরের পরে মানুষ আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকে এবং শরীরের শক্তি অনেকটাই হারিয়ে যায়। মানুষের বয়স যত বেশি বাড়তে থাকে মানুষের শরীরে ভিটামিনের এবং মিনারেলের ঘাটতে ততটাই বেশি দেখা দেয়। 45 বছর বয়সের উপরে যারা রয়েছে তাদের শরীরের ভিটামিন
এবং মিনারেলের অভাব দূর করতে এ ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। এ ওষুধ খাওয়ার কারণে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব পূরণ হয় যার কারণে শরীর থেকে দুর্বলতা দূর হয়ে যায়। 45 বছরের পরে শরীরের বিভিন্ন হাড় ব্যথা হওয়া মাথা ঘোরা হাত-পায়ে শক্তি না পাওয়া এ সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এ সমস্যাগুলো মূলত ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়ামের জন্য হয়ে থাকে।
এ ক্যাপসুল এর মধ্যে এ টু জেড সকল রকমের ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম রয়েছে এই ওষুধ খাওয়ার কারণে সকল রকমের ভিটামিন ক্যালসিয়াম মিনারেল এর অভাব পূরণ হয়ে যায়। যার কারণে শরীরে আবার আগের মত শক্তি ফিরে আসতে শুরু করে। তাই যারা ৪৫ বছরের উপরে আছেন এবং শরীরে দুর্বলতা অনুভব করছেন তারা এই ওষুধটি খেতে পারেন।
ওষুধ খেলে আপনি খুব বেশি উপকৃত হবেন এবং আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে শরীরে শক্তি ফিরে পাবেন।
উপসংহার
এ ওষুধটি বাচ্চাদের জন্য নয় তাই অবশ্যই আপনাকে এই ওষুধটি বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখতে হবে ৪৫ বছরের নিচে যারা আছে তাদের জন্য এ্যাটোজ প্রিমিয়াম রয়েছে তারা সেটা খাবে... খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন ডাক্তার যদি পরামর্শ দেয় তাহলে খাবেন কখনও নিজে থেকে গিয়ে কিনে খাবেন না এতে করে আপনার শরীরে সমস্যা হতে পারে....
জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url