কিভাবে মারেন উল্যান্ড সন্ত্রাসী ভিডিও দ্বারা মারা গেল

কিভাবে মারেন উল্যান্ড সন্ত্রাসী ভিডিও দ্বারা মারা গেল

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে মারেন উল্যান্ড সন্ত্রাসী ভিডিও দ্বারা মারা গেল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। তা আপনাদের সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।

ব্রেইভিক কয়েক মাস ধরে হামলার পূর্বপরিকল্পনা করেছিলেন। সে হামলায় ব্যবহারের জন্য অস্ত্র ও বোমা তৈরি করে। তিনি হামলার জন্য নিবেদিত একটি ফেসবুক পেজও তৈরি করেছেন, এই পেজে তিনি তার কারণ নথিভুক্ত করেছেন। ব্রেভিকের হামলা নরওয়ের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ। এটি নরওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।
কিভাবে মারেন উল্যান্ড সন্ত্রাসী ভিডিও দ্বারা মারা গেল
হামলার দিন ব্রেইভিক একটি ক্যাম্পের কাছে একটি গাড়ি বোমা হামলা চালায়। এরপর বন্দুক নিয়ে ক্যাম্পে ঢুকে নিরস্ত্র যুবকদের হত্যা করে। তিনি তার আক্রমণে 69টি প্রাণহানির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আক্রমণের পর ব্রেইভিক তার অস্ত্র ছেড়ে দেন এবং পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাকে ধরে নিয়ে আদালতে বিচার করা হয়। তাকে 21 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

উল্যান্ড সন্ত্রাসী হামলা 22শে জুলাই, 2022 তারিখে নরওয়ের উল্যান্ডে একটি নাইটক্লাব এবং একটি সুপার মার্কেটে ঘটেছিল। সহিংসতায় 77 জন নিহত এবং 40 জন আহত হয়েছেন। গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে যিনি এই হামলা কার্য পরিচালনা করেছিল এবং হামলাকারীদের প্রধান অধিনায়ক ছিল তার নাম অ্যান্ডার্স ব্রেইভিক। অনেকে মনে করে যে তিনি নরওয়ের স্থায়ী নাগরিক।

কিন্তু এই ধারণটি ১০০% ভুল। কারণ তিনি শুধু মাত্র নরওয়েতে অস্থায়ীভাবে থাকেন অধিবাসী হিসাবে। তিনি নরওয়ের স্থায়ী বাসিন্দা না। তিনি একজন খাঁটি ডানপন্থী ছিলেন এবং তিনি হামলার সময় একজন ডানপন্থী হিসাবে ডানপন্তীদের পক্ষে সাপোর্ট করেছিলেন।

যেদিন হামলা হয়েছিল, ব্রেইভিক প্রথমে উল্যান্ডের একটি নাইটক্লাবকে লক্ষ্য করে। তিনি সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে অন্তত ৬৯ জন। এরপর তিনি বন্দুক নিয়ে উল্যান্ডের একটি সুপার মার্কেটে হামলা চালান। সেখানে তিনি অতিরিক্ত আটজনকে জবাই করেন। হামলার পর পুলিশ ব্রেভিককে হেফাজতে নেয়।

পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। ব্রেইভিকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনেক লিখিত অভিযোগ ছিল। যার ফলে তার বিরেদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। এজন্য ঠিক এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হঠাৎ করে তাদের বিরুদ্ধে ৭৭টি হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এরপর আর কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয় নি। এভাবেই চলছিল অনেক দিন। তিনি অনেক দিন ধরেই সমুদ্রে ডাকাতি করতো। অর্থাৎ যারা সমুদ্রে মসৎ শিকারে যেত বা যেসব জাহাজে করে বিভিন্ন দেশের মালামাল এক দেশ থেকে অন্য পারাপার হতো সেসব জাহাজে ডাকাতি করতো। অর্থাৎ তিনি একজন পেশাদার জলদস্যু ছিলেন।

আগস্ট মাস ২০২২ সালে একবার এক জাহাজে ডাকাতি করতে ধরা পরেন। তার সাথে যেসব লোকজন ছিল তারা সবাই ধরা পরে যায়। কারণ সেই দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর কাছে তার মতো ব্রেভিক কিছুই না। তারপর তারা প্রান বাচানোর জন্য সেই বাহিনীর সাথে মুখোমুখি লড়াই করে। কিন্তু তারা সেই শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর কাছে হেরে যায় এবং ২১ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

dfsfsdfdg