কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক - কোয়েল পাখির ডিমের দাম কত
শ্রদ্ধেয় পাঠক, কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক ও কোয়েল পাখির ডিমের দাম কত
জানতে চান? তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারন এই আর্টিকেলে কোয়েল পাখির
ডিমের ক্ষতিকর দিক ও কোয়েল পাখির ডিমের দাম কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
হবে। তাই কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক ও কোয়েল পাখির ডিমের দাম কত এ সম্পর্কে
জানতে ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি পড়ুন।
বর্তমানে কোয়েল পাখি নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে। তাই আপনার
সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক ও কোয়েল পাখির
ডিমের দাম কত তা উল্লেখ করা হবে। এজন্য কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক ও কোয়েল
পাখির ডিমের দাম কত এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেলেটি
মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনা, কোয়েল পাখির
ডিম প্রতিদিন কয়টা খাওয়া যায়, শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা,
গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক,
কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে, কোয়েল পাখির ডিমের দাম ২০২৪ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনা
বাংলাদেশের হিসাবে ধরা যায় কোয়েল পাখি নতুন একটি নাম। যদিও কোয়েল পাখি
বাংলাদেশে অনেক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে তবে বর্তমানে এর উপস্থিতি এবং চাহিদা
বেড়েই চলেছে। এজন্য অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন জেগেছে যে কোয়েল পাখির ডিম ও
মুরগির ডিমের তুলনা করলে কে এগিয়ে থাকবে? তো আপনার সুবিধার্থে আমার আজকের এই
আর্টিকেলে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তো চলুন বিবেচনা করে দেখি কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনা যদি করা
পুষ্টিগুণ ও অন্যান্য সকল বিষয়ের ভিত্তিতে কে এগিয়ে থাকবে। যে কোন জিনিস বা
যেকোন খাদ্য উৎকৃষ্ট বলে তখনই গণ্য করা হয় যখন তার দামের তুলনায় পুষ্টিগুণ ও
অন্যান্য সকল উপাদান বেশি থাকে। এজন্য সবার প্রথমে দেখতে হবে দাম অনুসারে কোনটি
এগিয়ে রয়েছে?
নিম্নোক্ত বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনা
করা হবেঃ
- আকার
- স্বাদ
- পুষ্টি উপাদান
- কোলেস্টেরল
- দাম
- উপকারিতা
আকার: আকারের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে মুরগির ডিম অনেক গুন বড় কোয়েল
পাখির ডিমের তুলনায়। একটি মুরগির ডিমের ওজন ৫০ গ্রাম যেখানে একটি কোয়েল পাখির
ডিমের ওজন মাত্র ৫গ্রাম। তাই আকার ও আকৃতি বিবেচনায় মুরগির ডিম এগিয়ে রয়েছে।
স্বাদ: যেহেতু আমরা বাঙালিরা মুরগির ডিম খেয়ে অভ্যস্ত সেই তুলনায় কোন
বাঙালি যদি জীবনের প্রথম কোয়েল পাখির ডিম খায়, তাহলে তার মতামত অনুসারে
কোয়েল পাখির ডিম কিছুটা মিষ্টি বলে মনে হবে। তাই বলা যায় তৃপ্তি অনুসারে
মুরগির ডিম কোয়েল পাখির ডিমের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে।
পুষ্টি উপাদান: পুষ্টি উপাদান বিবেচনার ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিমের
তুলনায় মুরগির ডিম পিছিয়ে রয়েছে। কারণ কোয়েল পাখির ডিমের এমন কিছু উপাদান
রয়েছে যার কারণে পুষ্টিগুণ হিসাবে কোয়েল পাখির ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক
উপরে। কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছেঃ ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, এবং আয়রন। তবে
মুরগির ডিমেও এগুলো রয়েছে কিন্তু সেগুলো সামান্য পরিমাণে।
কোলেস্টেরল: আরো একবার কোয়েল পাখির ডিমের কাছে মুরগির ডিম হেরে গেল।
কারণ কোলেস্টেরল যত কম হবে ডিম তত উন্নত হবে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে
ভালো হবে। একটি কোয়েল ডিমে প্রায় ১.৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যেখানে একটি
মুরগির ডিমে প্রায় ৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তাই কোলেস্টেরল হিসাবে কোয়েল
পাখির ডিম এগিয়ে রয়েছে।
দাম: কোয়েল পাখির ডিমের দাম মুরগির ডিমের দামের তুলনায় কম। যেহেতু
আপনাদের আগে জানানো হয়েছে দাম অনুসারে আমরা বিবেচনা করব সেক্ষেত্রে দাম
বিবেচনায় মুরগির ডিম পিছিয়ে রয়েছে কোয়েল পাখির ডিমের তুলনায়।
উপকারিতা: উপকারিতার হিসাবে কোয়েল পাখির ডিম অবশ্যই মুরগির ডিমের
তুলনায় অনেকাংশেই এগিয়ে রয়েছে। কারণ কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে বিশেষ কিছু
রয়েছে যেমনঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে,
হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই উপকারিতা
দিক থেকে কোয়েল পাখির ডিম এগিয়ে রয়েছে।
কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনা করলে কে জিতবে?
দেখুন আপনি যদি টাকা পয়সা কম খরচ করতে চান এবং পুষ্টিগুণ অর্জন করতে চান তাহলে
আপনার জন্য কোয়েল পাখির ডিম সেরা হবে। দামের তুলনা করলে মুরগির ডিমের
তুলনায় কোয়েল পাখির ডিমের দাম অনেক কম। আর আপনি যদি একটু বেশি টাকা
পয়সা খরচ করে পুষ্টিগুণ অর্জন করতে চান তাহলে আপনার জন্য মুরগির ডিম
শ্রেষ্ঠ হবে।
কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন কয়টা খাওয়া যায়
যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, টাকা পয়সা একটু বেশি খরচ করে বেশি পুষ্টিগুণ
সমৃদ্ধ ডিম খাবেন অর্থাৎ কোয়েল পাখির ডিম তাদের মনে একটি উদয় হতে পারে। সেটি
হল কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন কয়টা খাওয়া যায়? আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের
আর্টিকেলের এই অংশে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
কোয়েল পাখির ডিম আপনি প্রতিদিন কয়টা খাবেন সেটি সম্পূর্ণই নির্ভর করছে আপনার
শারীরিক পরিস্থিতির। উপরে যেহেতু কোয়েল পাখির ডিমের ডিমের তুলনায় একটু বেশি
কোলেস্টেরল রয়েছে সেহেতু আপনার যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে তাহলে আপনার
জন্য কোয়েল পাখির ডিম কম খাওয়াই ভালো। কোলেস্টেরল থাকলে আপনি সর্বোচ্চ ১ থেকে
২টি ডিম খেতে পারেন।
তবে আপনার যদি কোলেস্টেরল কিংবা শারীরিক কোন সমস্যা না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে
আপনি কোয়েল পাখির ডিম ২টি থেকে ৩টি পর্যন্ত খেতে পারে আপনার কোন সমস্যা হবে
না। তবে যদি আপনার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না হয় তাহলে আপনার একাধিক
কোয়েল পাখির ডিম খেতে চাওয়া উচিত নয়। কারণ দাম হিসাবে কোয়েল পাখির ডিমের
দাম মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক কম।
তবে আপনি যদি কোন রোগের জন্য ঔষধ সেবন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোয়েল পাখির ডিম
খাবার পরবে আপনার চিকিৎসকের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন। কারণ কোয়েল পাখির
ডিমে অনেক শক্তিশালী উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনার ঔষধের ওপরে ক্ষতিকর প্রভাব
ফেলতে পারে। তাই অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোয়েল পাখির ডিম খাবেন
না।
তবে আপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম খেতে চান তাহলে আমার পরামর্শ অনুসারে আপনি
কোয়েল পাখির ডিম সকালে খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ কোয়েল পাখির ডিম
খালি পেটে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
পায়। তবে আপনি দুপুরে কিংবা রাত্রেও কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন এতে কোন
সমস্যা হবে না।
শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা অনেক বেশি। কারণ শিশু অবস্থায়
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকে যার ফলে কোয়েল পাখির ডিম খেলে
শিশুদের কোন সমস্যা দেখা দেয় না। যেহেতু শিশুদের পুষ্টি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের
খাবার খাওয়া উচিত সেক্ষেত্রে আপনি শিশুদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন।
কারণ কোয়েল পাখির ডিমে শিশুদের জন্য অনেক উপকারী গুণ আছে।
যদিও মুরগির ডিমের তুলনায় কোয়েল পাখির ডিমের দাম অনেক কম সেহেতু আপনারা
চেষ্টা করবেন আপনাদের বাচ্চাদের মুরগির ডিমের পরিবর্তে কোয়েল পাখির ডিম
খাওয়ানো। আমি কেন আপনাদের শিশুদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে বলছি মুরগির ডিমের
তুলনায় এর কারণ হয়তো আপনারা ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন।
শিশুদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানোর নিয়ম:
বড়দের জন্য এবং শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়মের ভিন্নতা
রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৬ মাসের কম তাদের কোনভাবেই কোয়েল পাখির
ডিম খাওয়ানো যাবে না। কারণ কোয়েল পাখির ডিম হজম করার জন্য যে ধরনের শারীরিক
সক্ষমতা প্রয়োজন হয় ৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের সেই ধরনের হজম শক্তি থাকে না।
শিশুদের কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন ১-২টি খাওয়ানো যেতে পারে। তবে, যদি আপনার
সন্তানের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে প্রতিদিন ১টি ডিম খাওয়া ভালো।
এজন্য আপনার যদি সন্দেহ থাকে যে আপনার বাচ্চার কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে
তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট এটি টেস্ট করে তার তারপরে শিশুকে কোয়েল পাখির ডিম
খাওয়াবেন।
শিশুদেরকে আপনি মুরগির ডিমের মতো সিদ্ধ করে, বয়েল করে, রান্না করে বিভিন্নভাবে
খাওয়াতে পারেন। তবে আমার মতে আপনারা আপনাদের শিশুদের কোয়েল পাখির ডিম বয়েল
করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। কারণ বয়েল করলে ডিমের পুষ্টিগুন অটুট থাকে এমনকি
অনেক ক্ষেত্রে ডিমের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। এজন্য অবশ্যই বয়েল করে খাওয়ানোর
চেষ্টা করবেন।
গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে,
গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা কি? তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের
আর্টিকেলের এই অংশে গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে সকল তথ্য
বিস্তারিত।
কোয়েল পাখির ডিমের উপাদানের মধ্যে এমন কিছু গুণ লুকিয়ে রয়েছে যেগুলো গর্ভবতী
মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রত্যেক গর্ভবতী নারীর জেনে
রাখা উচিত যে, গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা কি?
গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, গর্ভবতী মায়ের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে, গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে, গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কোন গর্ভবতী নারীর যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে তাহলে কোয়েল পাখির ডিম
সর্বোচ্চ তার ১টি খাওয়া উচিত। তবে যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে সেক্ষেত্রে
সর্বোচ্চ দিনে ২টি পর্যন্ত খেতে পারে। গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম রান্না
করে খাওয়া ভালো। কারণ, কাঁচা ডিম খেলে গর্ভবতী মায়ের পেটে অসুখ হতে পারে।
যেহেতু গর্ভাবস্থায় নারীদের সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করে যে কোন কাজের
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় সেক্ষেত্রে কোন গর্ভবতী নারীর যদি কোয়েল পাখির ডিম
খেতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। কারণ অনেক সময়
কোয়েল পাখির ডিম ঠিকমতো হজম হয় না, সেক্ষেত্রে গর্ভবতী মা এবং শিশুর
স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক
অবশেষে আপনি আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর
দিক এই অংশে প্রবেশ করেছেন। যেহেতু আপনি এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমাদের আর্টিকেলটি
পড়েছেন তাহলে আপনি অবশ্যই আর্টিকেলের নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ার
দক্ষতা রাখেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় কোয়েল
পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
একটি খাবারের যেমন উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে ঠিক
তেমনি, কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতার পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এজন্য
আজকের এই আর্টিকেলে কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করা হবে, যার ফলে
আপনারা সহজে এই তথ্যগুলো অনুধাবন করতে পারেন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি: কোয়েল পাখির ডিমে কোলেস্টেরলের
পরিমাণ প্রায় ১.৪ মিলিগ্রাম। তাই যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি রয়েছে তাদের
কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার ফলে শারীরিক মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনার যদি
কোলেস্টেরল বেশি থাকে তাহলে কোয়েল পাখির ডিম খাবেন না।
এলার্জির প্রাদুভাব: কোয়েল পাখির ডিমে এলার্জির উপস্থিতি বিদ্যমান। তাই
আপনার যদি এলার্জির কোন সমস্যা থাকে তাহলে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া থেকে বিরত
থাকুন। কারণ এলার্জি খুব মারাত্মক এবং ভয়ংকার রূপ ধারণ করতে পারে অল্প সময়ের
মধ্যে। এজন্য অ্যালার্জি থাকলে কোয়েল পাখির ডিম খাবেন না।
পেটের পীড়া: কোয়েল পাখির ডিম রান্না না করে খেলে অনেক সময় তা হজম হয় না, ফলে পেটে বিভিন্ন ধরনের পীড়া দেখা যেতে পারে। তাই কোয়েল পাখির ডিম সবসময় রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সকল তথ্য। আশা করি আপনি এই তথ্যগুলো ভালোভাবে অনুধাবন করবেন এবং অবশ্যই আপনি উপরের ভুলগুলো কখনোই করবেন না। এজন্য কোয়েল পাখির ডিম খাবার পূর্বে অবশ্যই দেখে নেবেন যে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা?
কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে
আমাদের আর্টিকেলের উপরের অংশে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোয়েল পাখির
ডিমে এলার্জি রয়েছে। তবুও অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন কোয়েল পাখির ডিমে কি
এলার্জি আছে ? তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে
হাজির হয়েছি আর্টিকেলের এই অংশে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কোয়েল পাখির ডিমে
কি এলার্জি আছে ?
কোয়েল পাখির ডিমে এলার্জিক উপাদানের মধ্যে রয়েছেঃ অ্যালবুমিন, গ্লোবুলিন,
ইমিউনোগ্লোবুলিন। কোয়েল পাখির ডিমের সবথেকে বেশি এলার্জি রয়েছে এর কুসুমের
মধ্যে। কারণ কুসুমের মধ্যে অ্যালবুমিন নামক উপাদান রয়েছে, যেটি এলার্জির জন্য
বিশেষভাবে দায়ী। এছাড়া কোয়েল পাখির ডিমের সাদা অংশে রয়েছে গ্লোবুলিন, যেটির
কারণেও এলার্জি হতে পারে।
যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের উচিত একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ
গ্রহণ করে পরিমিত পরিমানে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া। তবে যাদের অ্যালার্জি
রয়েছে তারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কোয়েল পাখির ডিম খায় তাহলে তাদের চোখ, মুখ,
গলা, বা শ্বাসনালীর ফুলে যাওয়া, কাশি, হাঁচি, শ্বাসকষ্ট , ত্বকে ফুসকুড়ি বা
চুলকানি, বমি বমি ভাব বা বমি, পেটব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে।
কোয়েল পাখির ডিমের দাম ২০২৪
অনেকেই হয়তো কোয়েল পাখির ডিমের দাম সম্পর্কে অবগত রয়েছে। কিন্তু আপনি কি
জানেন কোয়েল পাখির ডিমের আজকের, বর্তমান দাম কত বা কোয়েল পাখির ডিমের দাম
২০২৪ সম্পর্কে? আপনি যদি এ সকল বিষয়ে না জেনে থাকেন, তাহলে আমাদের আর্টিকেলের
এই শেষের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যদিও এটি আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য
বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত, তবুও আমরা এটি সবশেষে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কোয়েল পাখির ডিমের আজকের, বর্তমানে ও ২০২৪ সালে দাম হল প্রতি পিস ৫ টাকা
থেকে শুরু করে ৬ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ আপনি যদি এক হালি কোয়েল পাখির ডিম
কিনতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে ২০ টাকা থেকে ২৪ টাকা পর্যন্ত। আবার আপনি যদি ১
খাচি কিনতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যক্তিগত মতামত
আজকের এই আর্টিকেলে আপনার উদ্দেশ্যে কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনা,
কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন কয়টা খাওয়া যায়, শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের
উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর
দিক, কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে, কোয়েল পাখির ডিমের দাম কত ২০২৪ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url