ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না । ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে
প্রিয় পাঠক যেহেতু আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন তাহলে হয়তো আপনার ভেরিকোসিল আছে কিংবা আপনার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত লোকজন এর ভেরিকোসিল রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না ও ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে এবং কিভাবে সারান যায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এই ভেরিকোসিল নিয়ে বিভ্রান্তিতে বেশি ভোগে যাদের বয়সন্ধিকাল শুরু হয়েছে কিংবা যারা কোন সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। কারণ সামরিক বাহিনীতে যোগদান করার উচ্ছা প্রায় সকল ছেলেরই হয়ে থাকে। অনেকের তো সামরিকা বাহিনীতে যোগদান করা তাদের জীবনের লক্ষ্য হিসাবে গ্রহন করে। ভেরিকোসিল মূলত অন্ডকোষের শিরাগুলো ফুলে যাওয়াকে বোঝানো হয়।
ভেরিকোসিল কি
অনেকে মনে করে ভেরিকোসিল অনেক মারাত্মক একটি রোগ যেটি হলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আসলে ভেরিকোসিল এতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং মারাত্মক রোগের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি একটি খুবই সাধারণ রোগ এবং এটি থেকে মুক্তির উপায়গুলো অনেক সহজ। আপনাদের আতঙ্কের এই ভেরিকোসিল কি চলুন বিস্তারিত নিই।
ভেরিকোসিল হল কোন শারীরিক সমস্যার কারণে পুরুষের অন্ডকোষের শিরাগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া। এই শিরাগুলো সাধারন মানুষের চিকন এবং মোটামুটি ছোট প্রকৃতির হয়ে থাকে। কিন্তু যাদের এই ভেরিকোসিল এর সমস্যা রয়েছে তাদের দিয়ে রক্ত স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না ফলে ব্যথা হয়। এটি পায়েও দেখা যেতে পারে।
ভেরিকোসিল হওয়ার কারণ ও লক্ষণ
চিকিৎসকেরা ভেরিকোসিল নিয়ে গবেষণা করে একটি তথ্য নির্ধারণ করেছে যে তারা এখনো পর্যন্ত ভেরিকোসিল হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাইনি। তবে তারা এটাও বলেছে যে ভেরিকোসিল হওয়ার বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ তারা নির্ধারণ করতে পেরেছে। ভেরিকোসিল সাধারণত বাম দিকে হয়ে থাকে। কারণ বাম গোনাডোফ্রেনিকে রক্ত প্রবাহের জন্য যে নালিকাটি যাই তা মূলত বাম অন্ডকোষ থেকে আসে।
নিচে ভেরিকোসিল হওয়ার সম্ভাব্য কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো চিকিৎসকদের মতামত অনুসারে।
ভারী জিনিস উপরে তোলা
কেউ যদি ভারী জিনিস উপরে তোলার কাজ দীর্ঘদিন করে থাকে তাহলে তার ভেরিকোসিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ যখন আপনি ভারী জিনিস নিজ থেকে উপরে তুলবেন তখন প্রথম অবস্থায় আপনার কোমরে চাপ পড়বে এবং কোমর থেকে নিচের অংশে আপনার অন্ডকোষের শিরায় চাপ পড়বে। যার ফলশ্রুতিতে অতিরিক্ত রক্তচাপের কারণে ভেরিকোসিল দেখা দেবে।
যদি কোন পুরুষ অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের লিপ্ত থাকে তাহলে তার ভেরিকোসিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় 90 শতাংশ। কারণ এটি মানব শরীরের জন্য অত্যাধিক ক্ষতিকর। এই হস্তমৈথুন করলে অন্ডকোষের শিরায় হঠাৎ করে অতিরিক্ত রক্তচাপের কারণে শিরাগুলো ফুলে ওঠে যা ভেরিকোসিল নামে পরিচিত। এছাড়া অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করতে করতে হঠাৎ করে হস্তমৈথুন করা বাদ দিলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পারিবারিক ইতিহাস
আপনার পরিবারের আদি পুরুষের অর্থাৎ আপনার বাবা বা আপনার দাদার যদি ভেরিকোসিল থাকে তাহলে নির্দিষ্ট বয়সে আপনারও আপনার বংশপরম্পরায় ভেরিকোসিল সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। পারিবারিক ইতিহাসে যদি আপনার ভেরিকোসিল থাকে সেক্ষেত্রে আপনার কোন কারণ ছাড়াই জিনগত কারণে ভেরিকোসিল হতে পারে।
দীর্ঘ সময় পায়ের ব্যায়াম
যদি কেউ দীর্ঘ সময় বিশ্রাম ছাড়াই পায়ের ব্যায়াম বা অতিরিক্ত খেলাধূলা করে সেক্ষেত্রে রক্তনালিকায় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের কারণে ভেরিকোসিল হতে পারে। এজন্য আপনারা সব সময় আপনারা নিয়মানুবর্তিতা অনুসারে পরিশ্রম করবেন এবং যথেষ্ট বিশ্রাম নিবেন। তাহলে আপনাদের এই ভেরিকোসিল নামক রোগটি আর হবে না।
বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবন
অনেকে যৌন উত্তেজনা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবন করে থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। এই ওষুধগুলো দীর্ঘদিন সেবন করার ফলে এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পুরুষের শরীরে ভেরিকোসিলসহ মারাত্মক হিসেবে পূর্ণরূপ যেমনঃ লিভার ড্যামেজ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
সিঁড়ি দিয়ে অতিরিক্ত উঠানামা করলে
ছেড়ে দিয়ে অতিরিক্ত উঠানামার কারণে আপনার রক্তনালিকায় অতিরিক্ত চাপ পড়ে। রক্তনালিকায় চাপ পড়ার কারণে আমাদের শরীরের যেসব শিরাগুলি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয় সেই শিরার ভালবগুলোর প্রাচীরে প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ হয়। আর এই চাপের কারণে শিরাগুলো ফুলে যায়। তখন ভেরিকোসিল দেখা দেয়। এজন্য এ ধরনের কাজ করার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
অন্ডকোষে ব্যথা পেলে
আমরা আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত কত ধরনের কাজই না করে থাকে। অনেক কাজ আছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ তবুও পারিবারিক অর্থ অনটনে অনেকেই এই কাজগুলো করতে বাধ্য হয়। অনেকে বিভিন্ন কলকারখানা, বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লেবারের কাজ করে থাকে। এ ধরনের ভারী কাজ করার সময় অন্ডকোষে ব্যথা পেলে ভেরিকোসিল হতে পারে।
বয়সন্ধিকাল
আপনার বয়স যদি ১৫ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভেরিকোসিল আক্রমণকারী বয়সের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যাদের বংশ পরম্পরায় ভেরিকোসিল ছিল না তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ১৫ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ভেরিকোসিল সনাক্ত করা হয়েছে। তবে এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে।
এতক্ষণ আমরা ভেরিকোসিল হওয়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি এখন আমরা জানবো আপনার যদি ভেরিকোসিল হবার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আপনি অগ্রিম কিভাবে বুঝবেন আপনার ভবিষ্যতে ভেরিকোসিল হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য চলুন এবার জেনে নেই ভেরিকোসিল হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভেরিকোসিল হওয়ার পূর্বে তেমন কোন লক্ষণ বা পূর্বাভাস প্রকাশ করে না। হঠাৎ করে ভেরিকোসিল পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশিত হয়। তবে চিকিৎসকদের গবেষণা অনুসারে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুক্রানুর গুণগতমান নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে, , অন্ডকোষের চামড়ায় লাল লাল অংশ দেখা দিতে পারে, অন্ডকোষের আকার আকৃতি পরিবর্তন হতে পারে।
অন্ডকোষে ব্যাথা হতে পারে
বাংলাদেশের হিসাবে প্রতি ১০০ জন ভেরিকোসিল আক্রান্ত পুরুষের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ অন্ডকোষের ব্যথা অনুভব করেন। এই ব্যথা অতিরিক্ত তীব্র প্রকৃতির নয়। তবে এই ব্যথা সব সময় অনুভূত না হলেও ভারী জিনিস নিচ থেকে উপরে তোলার সময় যখন কোমরে অতিরিক্ত চাপ লাগে তখন এই ব্যথা তীব্রতাই রূপ নেয়। এজন্য ভারী জিনিস থেকে উপরে তোলা যাবে না।
অন্ডকোষের আকার আকৃতি পরিবর্তন হতে পারে
বাংলাদেশের হিসাবে প্রতি ১০০ জন ভেরিকোসিল আক্রান্ত পুরুষের মধ্যে ২০ জন পুরুষের হয়ে যায়। এই আকার আকৃতি পরিবর্তন হয়ে গিয়ে বিকৃত আকার ধারণ করে। তবে এটা অনেক কম মাত্রায় পুরুষদের প্রভাবিত করতে পারে। এজন্য অন্ডকোষের আকার পরিবর্তন হয়ে অস্বাভাবিক বড় এবং লম্বা হয়ে যায়।
অন্ডকোষের চামড়ায় লাল লাল অংশ
বাংলাদেশের হিসাবে প্রতি ১০০ জন ভেরিকোসিল আক্রান্ত পুরুষের মধ্যে ১০ জন পুরুষের অন্ডকোষের চামড়ায় লাল লাল অংশ দেখা দিতে পারে।
শুক্রানুর গুণগতমান নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে
এটি বাংলাদেশের হিসাবে অতি অল্পমাত্রায় দেখা যায়। হিসাব করলে দেখা যাবে বাংলাদেশের হিসেবে প্রতি ১০০ জন ভেরিকোসিল আক্রান্ত পুরুষের মধ্যে শুধুমাত্র ২ জন থেকে ৩ জন পুরুষের শুক্রাণুর গুণগতমান নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। এটি যেহেতু বাংলাদেশকে এখনো সম্পূর্ণরূপে প্রভাবিত করতে পারেনি সেহেতু এটি একটি মেজর সমস্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না
আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর চান তাহলে আপনাকে আগে ভেরি তাহলে আপনাকে আগে ভেরিকোসিল সম্পর্কে খুঁটিনাটির সকল তথ্য নিখুঁতভাবে জানতে হবে। নিম্নে ভেরিকোসিল সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। এজন্য আপনি যদি ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আপনি সকল তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
কিন্তু এখানে অনেকে ভয় ভয় প্রশ্ন করে থাকে ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না ? কারণ ভেরিকোসিলের অন্য নাম হল পুরুষের বর্ণান্ধতা। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনাদের মনে যে প্রশ্নটি সেটির উত্তর হল ভেরিকোসিল হলেই যে বাচ্চা হবে না বিষয়টি এরকম নয়। বাচ্চা না হওয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে ভেরিকোসিল একটি।
অর্থাৎ ভেরিকোসিল যদি অত্যাধিক পরিমাণে কোন ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে ফেলে সেক্ষেত্রে মূলত এই প্রভাবটি প্রতিফলিত হয়। অর্থাৎ ভেরিকোসিল হলে পুরুষের শরীরে যেসব প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে সবথেকে কম শক্তিশালী প্রভাবটি হলো পুরুষের শুক্রানুর গুণগতমান নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং পুরুষের শুক্রানু উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া।
যেহেতু ভেরিকোসিল হলে অন্ডকোষের শারীরিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় যার ফলে অন্ডকোষ তার স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে পারে না। যার ফলে বর্ণান্ধতা দেখা দেয়। এই কারণেই অনেকে প্রশ্ন করে থাকে ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না ? এজন্য যাদের মনে এ ধরনের প্রশ্ন রয়েছে তাদের এই ভেরিকোসিল সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় নিম্নরূপ দেওয়া হলঃ
ভেরিকোসিল সারানোর জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়ম অনুসারে ঘরোয়া পদ্ধতি এবং প্রাকৃতিক খাবারগুলো খেলে ভেরিকোসিল এর সমস্যা ধীরে ধীরে নির্মূল করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। এজন্য চলুন জেনে নেওয়া যাক ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি এবং প্রাকৃতিক খাবারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
রসুন ও কালোজিরা
ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধান সব থেকে কার্যকরী এবং স্বল্পমূলের চিকিৎসা হচ্ছে রসুন খাওয়া এবং আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখা। আপনাদের যাদের ভেরিকোসিল সমস্যা রয়েছে তারা রাতে ঘুমানোর পূর্বে রসুন থেতে করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ঘুমাবেন এবং প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রসুন এবং কালোজিরা চিবিয়ে খাবেন। আশা করি আপনাদের ভেরিকোসিল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
অশ্বগন্ধা
ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধানে আরেকটি কার্যকর খাবার হল অশ্বগন্ধার পাউডার খাওয়া। এই অশ্বগন্ধা মানব শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকার করে থাকে। এটি অনেক আগে থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপকারী উদ্ভিদের তালিকায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। এছাড়া আপনারা অশ্বগন্ধার পাউডার খাওয়ার পাশাপাশি অশ্বগন্ধা তেল আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। যাদের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না তারা এই অশ্বগন্ধা বেশি করে খাবেন।
ফাইবার জাতীয় খাবার
ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। আর জাতীয় খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কারণ এ আসে জাতীয় খাবার খেলে পায়খানা ক্লিয়ার হয় ফলে শরীরে অপ্রয়োজনীয় কোন দ্রব্য পেতে থাকতে পারে না। এজন্য আমাদের অত্যাধিক পরিমাণে পানি এবং আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত।
ঠান্ডা সেঁক
ভেরিকোসিল আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা কোন কিছুর যেকঃ ঠান্ডা পানি বা বরফ এর সেঁক দিলে অন্ডকোষের ব্যথা অনেকটাই উপশম করা সম্ভব।
ব্যায়াঁক
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের প্রতি অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় যা আমাদের পেটের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে এবং আমাদের বাইসেপস ও ট্রাইসেপসকে অত্যধিক পরিমাণে শক্তিশালী করে যা ভেরিকোসিল এর কার্যক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস করতে সক্ষম।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত এবং আপনাদের মনের যত ধরনের প্রশ্ন ছিল সেই সকল প্রশ্নের উত্তরগুলো সম্পর্কে। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাই আপনার যদি ভেরিকোসিল হয় তাহলে দুশ্চিন্তিত না হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো মেনে চলুন।
ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে
একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ভেরিকোসিল আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে তার এই ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধানের জন্য কোন পদ্ধতি নিরাপদ হবে এবং কোন পদ্ধতি সবথেকে কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারবে তা নির্ধারণ করে থাকেন। আপনি যদি জানতে চান যে ভেরিকোসিল সারাতে কতদিন লাগে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভেরিকোসিল এর তীব্রতা এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমান বিশ্বে ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধানের সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সমাধান করা। আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে যেটি অস্ত্রোপচার ছাড়া করা হয়। অস্ত্রোপচার এর মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করলে একটু ব্যয়বহুল খরচ হয়। অর্থাৎ এখানে অনেক টাকা পয়সা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য অনেকে অস্ত্রোপচার ব্যতীত ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকে।
যারা এতদিন ডাক্তারদের প্রশ্ন করেছেন যে ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না তাদের জন্য শুভ খবর। কারণ এখন নিমেষেই অস্ত্রোপচার মাধ্যমে আপনি যদি ভেরিকোসিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এই চিকিৎসায় মূলত দুটি চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। সেই দুটি পদ্ধতি হলোঃ ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি এবং ওপেন সার্জারি।
ওপেন সার্জার
আপনি যদি ওপেন সার্জারির মাধ্যমে আপনার ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধান করতে চান তাহলে ভেরিকোসিল সারাতে ১৪ দিন থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। অর্থাৎ আপনাকে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এই পদ্ধতিতে অন্ডকোষের শিরাগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আনা হয় এবং তা উন্মুক্ত করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এজন্য ওপেন সার্জারি হল সময় সাপেক্ষ পদ্ধতি।
ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি
ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি এর মাধ্যমে আপনি যদি আপনি আপনার ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধান করতে চান তাহলে ভেরিকোসিল সারাতে ৭ দিন থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। অর্থাৎ আপনাকে সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই পদ্ধতিতে ছোট ছোট ছিদ্রের সাহায্যে অন্ডকোষের শিরাগুলোকে বন্ধ করার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আপনি যদি অল্প খরচে ভেরিকোসিল সমস্যার সমাধান করতে চান এবং আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে তাহলে আপনি অস্ত্রোপচার ব্যতীত যে চিকিৎসাটি রয়েছে সেটি গ্রহণ করতে পারেন। এই চিকিৎসাতে দুটি মাধ্যম ব্যবহার করা হয় তা হলঃ কন্ডোমেস্ট্রি, ইমিগ্রেশন থেরাপি।
কন্ডোমেস্ট্রি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে ভেরিকোসিল সারাতে ৪০ থেকে ৫০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে এবং ইমিগ্রেশন থেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে ভেরিকোসিল সারাতে ৩০ দিন থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
আপনি যদি টাকা পয়সা খরচ করে অল্প সময়ের মধ্যে ভেরিকোসিল সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে আপনি অস্ত্রোপচার চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করবেন। আর আপনার যদি টাকা পয়সা খরচ করার তেমন ইচ্ছা না থাকে এবং আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে তাহলে আপনি অস্ত্রোপচার ব্যতীত যে চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে সেটি গ্রহণ করতে পারেন। ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে আশা করি বুঝতে পারেছেন।
বলে রাখা ভালো যে আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে এবং স্থায়ীভাবে ভেরিকোসিল সমস্যা সমাধান করতে চান তাহলে সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি হলো অস্ত্রোপচার এর মাধ্যমে ভেরিকোসিল এর চিকিৎসা করা। কারন এই পদ্ধতিতে ভেরিকোসিল সারাতে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় লাগে। অর্থাৎ আপনি এক মাসের মধ্যেই সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
আর যদি আপনি অস্ত্র প্রচার ব্যতীত যে চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে সেটি গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনার টাকা পয়সা তেমন খরচ হবে না কিন্তু এই পদ্ধতিতে ভেরিকোসিল সারাতে ৪০ দিন থেকে ৫০ দিন সময় লাগে। আবার একটি সমস্যাও রয়েছে এ পদ্ধতিতে সেটি হল আপনার ভেরিকোসিল এর সমস্যা ভবিষ্যতেও দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে আপনি স্থায়ীভাবে সুস্থতা লাভ করতে পারবেন না।
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না, ভেরিকোসিল কি, ভেরিকোসিল এর কারণ ও লক্ষণ, ভেরিকোসিল থেকে মুক্তির উপায়, ভেরিকোসিল সারতে কতদিন লাগে এসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আমি মনে করি আপনাদের মধ্যে অনেক এই তথ্যগুলো প্রয়োজন ছিল কিন্তু আপনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
আশা করি আজকের আমার এই পোষ্টটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকের পোষ্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে ততক্ষণ নিজের খেয়াল রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন।
জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url