বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট কি- বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কি- বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কেন করা হয়
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট কি ও বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কি তা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। অনেকেই এই সম্পর্কে জানেনা তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
এটি মেডিকেল টেস্টগুলোর অন্তর্ভুক্ত। যেকোন রোগের যদি কোন মারাত্মক ব্যাধি হয় তাহলে তা সনাক্তকরণের জন্য বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে যারা মেডিকেলে পড়াশোনা করে তারা এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়।
বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট কি
তো চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট কি ? এই সম্পর্কে
বিস্তারিত। আজকের এই আর্টিকেলে বায়ো কেমিস্ট্রি সম্পর্কে সকল তথ্য চুলচেরা
বিশ্লেষণ করা হবে যাতে আপনারা সহজেই এই জটিল বিষয়গুলো বুঝতে পারেন এবং আপনাদের
জীবনে যদি এ ধরনের কোন পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয় তাহলে সহজেই সেগুলো করতে পারেন।
বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট হলো
একটি ফলাফল পত্র যেখানে রোগের বিভিন্ন চেকআপের ফলাফল যেমনঃ রোগীর রক্ত, মূত্র বা
অন্যান্য তরল বা টিস্যুর নমুনার পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি ফর্মে
উপস্থাপন করা হয়। যে রিপোর্টটি দেখলে ডাক্তাররা বুঝতে পারে এই রোগীর কি কি
সমস্যা রয়েছে এবং তাকে কি ধরনের চিকিৎসা প্রদান করলে সুস্থতা লাভ করবে।
তবে এই বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট এর মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত
থাকেঃ
- ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষাকার্বোহাইড্রেট পরীক্ষা
- লিপিড পরীক্ষা
- প্রোটিন পরীক্ষা
ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষাঃ এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর রক্তে ও মুত্রে কি
পরিমান ইলেকট্রোলাইট রয়েছে তার নির্ধারণ করা হয়। এটি অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর
যেটি নির্ধারণের মাধ্যমে রোগীর সুস্থতার হার নির্ভর করে থাকে। ইলেকট্রোলাইটের
অনেক উপাদান রয়েছে যেমনঃ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও সোডিয়াম।
এগুলো মানব শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে কারণ এগুলো
স্নায়ুতন্ত্র এবং কোষকলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
কার্বোহাইড্রেট পরীক্ষাঃ এটিও ঠিক ইলেকট্রোলাইটের পরীক্ষার মতই। কারণ
এই পরীক্ষা করার মাধ্যমে রক্তে এবং মূত্রে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ নির্দেশিত
হয়। কার্বোহাইড্রেট এর বিভিন্ন উপাদান যেমনঃ গ্লুকোজ, ফুক্টোজ, গ্যালাক্টোজ,
ল্যাক্টোজ ও ল্যাকটেট।
লিপিড পরীক্ষাঃ এই পরীক্ষাও ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা ও
কার্বোহাইড্রেট পরীক্ষার মতই। কারণ লিপিড পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে ও মূত্রে
লিপিডের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। লিপিডের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে রয়েছে
ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড।
প্রোটিন পরীক্ষাঃ অন্যান্য সকল পরীক্ষার মতো করেই প্রোটিন পরীক্ষার
হিসাব করা হয়। কারণ প্রোটিন পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে ও মূত্রে কি পরিমান প্রোটিন
রয়েছে তা নির্ধারিত হয়। তবে অতিরিক্ত প্রোটিন স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট কি এসব সম্পর্কে
বিস্তারিত। কারণ উপরে এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে এই
আর্টিকেলের নিচের অংশে বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে। যারা জানতে চান বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কি তারা এই
আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কি
যেহেতু আজকের আর্টিকেলের উপরের অংশে বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট কি এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এজন্য কি কি বিষয়ে বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করা হয়
সেই সম্পর্কে আপনার অবগত হয়েছেন। তবে আপনাদের সুবিধার্থেবায়ো কেমিক্যাল টেস্ট
কি এবং এই টেস্টগুলোর সাধারণ কিছু ব্যবহারবিধে উল্লেখ করা হলো।
বায়োকেমিক্যাল টেস্টগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে বা একটি নির্দিষ্ট
ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করা হয়। কোন ব্যক্তি যদি এই টেস্টগুলো করতে চাই তাহলে তাকে
তার মুত্র কিংবা রক্তের নমুনা ল্যাবরেটরীতে জমা দিতে হবে। কারণ মূত্র ও রক্ত
পরীক্ষার মাধ্যমে বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করা হয় এবং বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট
দেওয়া হয়।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কি এ সম্পর্কে সকল তথ্য
বিস্তারিত। আমাদের আর্টিকেলের পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে বায়োকেমিক্যাল টেস্ট
কেন করা হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এজন্য যারা বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কেন করা হয়
তা জানতে চান তাহলে নিম্নেরঅংশটুকু মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন কারণ এগুলো
বৈজ্ঞানিক বিষয়।
বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কেন করা হয়
বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কেন করা হয় আপনার অবশ্যই এ বিষয়ে জেনে ফেলেছেন। কারণ
আজকের এই আর্টিকেলে বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্ট কি ও বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কি এ
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবুও যারা এ সম্পর্কে এখনো বুঝতে পারেননি
তারা আমার আর্টিকেলের উপরের অংশগুলো আবার পড়তে পারেন তাহলেই আপনারা এ সম্পর্কে
সঠিক তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বায়োকেমিক্যাল টেস্ট কেন করা হয় এ সম্পর্কে
বিস্তারিত। বিশেষভাবে বলতে চাই এই সকল পরীক্ষাগুলো করার মাধ্যমে আমাদের রক্তে এবং
মূত্রে কোন উপাদান কি পরিমাণ রয়েছে এগুলো বিচার বিশ্লেষণ করা হয়। কারণ এইগুলো
বিচার বিশ্লেষণ করলেই আসল রোগ সনাক্ত করা যাবে এবং চিকিৎসকেরা এই রোগ শনাক্তকরণের
উপরে নির্ভর করে রোগীকে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করবে। এজন্য এগুলো খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
শেষ কথা
তো আজকে এই পর্যন্তই, আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে অন্য কোন বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। ততক্ষণ নিজের খেয়াল রাখবেন, সুস্থ থাকবেন এবং
আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জ্ঞানমূলক তথ্য
করে নিজের জ্ঞান ভান্ডারকে বৃদ্ধি করবেন। ধন্যবাদ।
জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url