Aptamil 2 খাওয়ার বয়স- Aptamil 2 খাওয়ার এবং বানানোর নিয়ম- দাম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রিয় পাঠক আপনি কি Aptamil 2 খাওয়ার বয়স সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে Aptamil 2 খাওয়ার বয়স এবং Aptamil 2 বানানোর নিয়ম ও Aptamil 2 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
Aptamil 2 খাওয়ার নিয়ম-Aptamil 2 বানানোর নিয়ম-Aptamil 2 খাওয়ার বয়স
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন Aptamil 2 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং Aptamil 2 এর দাম সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর তার জন্য প্রথম খাবার হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। যখন কোন সমস্যার কারণে বাচ্চাকে এই দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া না যায় অথবা কোন সমস্যার কারণে বাচ্চাকে খাওয়ানো না যায় তখন ডাক্তাররা তাদেরকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর কথা বলেন। ফর্মুলা দুধের মধ্যে একটি হচ্ছে Aptamil


এই দুধ বাচ্চার দুধ পানের চাহিদা পূরণ করতে অনেকটাই সক্ষম। এ দুধ খাওয়ানোর ফলে বাচ্চার জীবন জীবিত থাকে।

Aptamil 2 খাওয়ার বয়স

এ দুধ খাওয়ানোর জন্য বাচ্চার একটি নির্দিষ্ট বয়স হতে হবে। সেই পরিমাণ বয়স না হওয়ার আগে বাচ্চাকে এ দুধ কোনভাবে খাওয়ানো যাবে না। ছোট বাচ্চাকে যে কোন খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়সের প্রয়োজন হয়। ৬ থেকে ১২ মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য Aptamil 2 তৈরি করা হয়েছে। বাচ্চার বয়স ৬ মাস হওয়ার আগে কখনোই তাদেরকে এই দুধ খাওয়ানো যাবে না

এবং বাচ্চার বয়স যে সময় ১২ মাস হয়ে যাবে তারপরে তাদেরকে এ দুধ খাওয়ানো যাবে না। ছয় মাসের পূর্বে বাচ্চাদের জন্য Aptamil 1 এবং 12 মাস পরে বাচ্চাদের জন্য Aptamil 3 রয়েছে। আপনার বাচ্চাকে যদি Aptamil 2 খাওয়াতে চান তাহলে ৬ মাস বয়স হওয়ার পরে খাওয়াবেন তাহলে আপনার বাচ্চা উপকৃত হতে পারবে।

অন্যথায় বয়স হওয়ার আগে খাওয়ালে তা বাচ্চার শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

Aptamil 2 খাওয়ার নিয়ম

ছয় মাস থেকে দুই বছরের শিশুদেরকে Aptamil 2 খাওয়ানো হয়। বয়সের সাথে সাথে পানির পরিমাণ এবং দুধের পরিমাণ বাড়তে থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে তাহলে আপনার বাচ্চা শরীরের জন্য উপকারী হবে। ছয় মাস থেকে সাত মাস পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচবার করে শিশুকে Aptamil 2 খাওয়াতে হবে।

পানির পরিমাণ হবে 210 মিলি এবং গুঁড়ো দুধের পরিমাণ হবে সাত চামচ পরিমাণ অর্থাৎ 210 মিলে পানিতে সাত চামচ পরিমাণ Aptamil 2 মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। বাচ্চার বয়স যখন সাত মাস হবে তখন থেকে দুই বছর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় তিন থেকে চারবার বাচ্চাকে Aptamil 2 খাওয়াতে হবে। পানির পরিমাণ হবে ২১০ মিলি এবং Aptamil 2 এর পরিমাণ হবে সাত চামচ


অর্থাৎ 210 মিলি পানিতে সাত চামচ পরিমাণ Aptamil 2 মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াবেন। পানি এবং দুধ একসাথে মিক্স করার সময় অবশ্যই ভালোভাবে মিক্স করবেন এবং খাওয়ানোর সময় বাচ্চাকে সতর্কতার সাথে খাওয়াবেন।

Aptamil 2 বানানোর নিয়ম

বাচ্চার জন্য যখন ফিডারে দুধ পানির সাথে মেশাবেন তখন অবশ্যই ভালোভাবে মিক্স করতে হবে।প্রথমত আপনার যে কাজ তা হচ্ছে ফিডারকে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। এরপরে যেই পরিমাণ দুধের সাথে যে পরিমাণ পানি মিক্স করার কথা বলা হয়েছে সেই পরিমাণ দুধ এবং পানি একসাথে নিবেন এরপর ভালোভাবে তা মিক্স করবেন।

পানি নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কুসুম গরম পানি হতে হবে কারণ আপনি যদি ঠান্ডা পানি নেন তাহলে গুঁড়ো দুধ পানির সাথে ঠিকভাবে মিক্স হবে না আর যদি গরম পানি নেন তাহলে বাচ্চা ঠিকভাবে খেতে পারবে না। এজন্য সবচেয়ে ভালো হবে কুসুম গরম পানি নেওয়া কারণ কুসুম গরম পানি নিলে সেখানে গুড়োদর ঠিকভাবে মিক্স হবে এবং বাচ্চাও আরামে খেতে পারবে।

দুধের পরিমাণ নেয়ার ক্ষেত্রে প্যাকেটের মধ্যে যে চামচ রয়েছে সে চামচে পরিমাণ করে নিবেন। কখনো বাহিরের চামচ দিয়ে পরিমাপ করবেন না। এরপরে যখন পরিমাণ মতো দুধ এবং পরিমাণ মতো পানি নেওয়া হয়ে যাবে তখন তা একটি চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিক্স করে নেবেন যাতে দুধ দানা দানা হয়ে ভিতরে জমা হয়ে না থাকে।

দুধ মিক্স করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতার সাথে মিক্স করতে হবে। ছয় থেকে সাত মাস পর্যন্ত বয়সের বাচ্চাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ থেকে ৫ বার 210 মিলে পানিতে সাত চামচ পরিমাণ Aptamil 2 মিশিয়ে পান করাবেন এবং বাচ্চার বয়স সাত মাস হলে তখন তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিন থেকে চারবার 210 মিলে পানিতে সাত চামচ পরিমাণ Aptamil 2 মিশিয়ে পান করাবেন। এটাই হচ্ছে Aptamil 2 বানানোর নিয়ম।

Aptamil 2 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রথমত এ দুধ বাচ্চাকে খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। ডাক্তার যদি এই দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয় তাহলে এ দুধ খাওয়াবেন। অন্যথায় নিজে মনগড়া ভাবে দুধ খাওয়াতে যাবেন না। অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে ফর্মুলা দুধ খাওয়ালে বাচ্চার পেটে ঠিকভাবে হজম হয় না যার কারণে বাচ্চার বমি বমি ভাব হতে থাকে। অনেক সময় বমি করে দেয়।

বমি করার পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে বুক জ্বালাপোড়া করা। এ দুধ খাওয়ানোর ফলে বা যে কোন ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর পরে কিছু বাচ্চার বুক জ্বালাপোড়া করে যার কারণে বমি করে দেয়। আবার অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানার সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আপনার বাচ্চাকে এ দুধ খাওয়ানোর পরে যদি এরকমের কোন সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।


ডাক্তার যেই মোতাবেক পরামর্শ দেয় সেভাবে আপনার বাচ্চাকে খাওয়াবেন তাহলে আর কোনো রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না।  তাই আপনার বাচ্চার কে এ দুধ খাওয়ানোর পরে যদি কোন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেন তাহলে সর্বপ্রথম আপনার উচিত হবে ডাক্তারকে দেখানো।ডাক্তারের যদি মনে হয় এই দুধ আপনার বাচ্চার পেটে সহ্য হচ্ছে না তাহলে ডাক্তার পরিবর্তন করে দিতে পারে।

Aptamil 2 এর দাম

6 থেকে 12 মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য Aptamil 2 তৈরি করা হয়েছে। আপনি এ দুধ কিনতে গেলে দুই রকমের ওজনে পাবেন একটি হতে ৪০০ গ্রাম এবং আরেকটি হচ্ছে ৮০০ গ্রাম। ওজনের ওপর নির্ভর করে এ দুধের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে
  • ৪০০ গ্রাম ওজনের Aptamil 2 এর দাম ২৩০০ থেকে ২৪০০ টাকার মধ্যে।
  • ৮০০ গ্রাম ওজনের Aptamil 2 এর দাম ৩৯০০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে।
কেনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে মেয়াদ এবং দাম যাচাই করে নিবেন। যদি সেই মেয়াদ না থাকে তাহলে সে দুধ আপনার বাচ্চাকে খাওয়ালে আপনার বাচ্চার জীবন চলে যেতে পারে। তাই মেয়াদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।

উপসংহার

সর্বপ্রথম আপনাকে চেষ্টা করতে হবে বাচ্চাকে তার মায়ের দুধ খাওয়ানো। যদি কোন ভাবে সেটা সম্ভব না হয় তাহলে ডাক্তারকে দেখাতে হবে ডাক্তার যে দুধ খাওয়াতে বলবে তা সে দুধ খাওয়াবেন তাহলে আপনার বাচ্চার জন্য ভালো হবে।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও Aptamil 2 সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

dfsfsdfdg