anomaly scan করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশে ২০২৪- anomaly scan কিভাবে করা হয়

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি কি anomaly scan কি এবং anomaly scan করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আমাদের আজকের আর্টিকেলে এই সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। তাই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
anomaly scan করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশে
গর্ভাবস্থায় anomaly scan এর প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই স্ক্যানের মাধ্যমে শিশুর বাহ্যিক সকল অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা চেক করা হয়। তাই আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে আপনার উচিৎ আপনার শিশুর সুরক্ষার্থে anomaly scan করা।

Anomaly scan কেন করা হয়

আনোমালি স্ক্যান হলো গর্ভাবস্থার ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা। এটি সাধারণত "২০ সপ্তাহের স্ক্যান" বা "মিড-প্রেগন্যান্সি স্ক্যান" নামেও পরিচিত। এই পরীক্ষাটি শিশুর শারীরিক বিকাশ এবং গর্ভাবস্থার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। এর মাধ্যমে শিশুর মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, মূত্রাশয়, হাত, পা, মুখ এবং ঠোঁট সহকারে পরীক্ষা করা হয়।

anomaly scan কিভাবে করা হয়

anomaly scan পরীক্ষার ১ ঘন্টা আগে এক লিটার পানি খাওয়ানো হয় কারণ পরীক্ষার সময় মূত্রাশয় পূর্ণ থাকলে শিশুর ছবি স্পষ্ট হয়। গর্ভবতী নারীকে ঢিলেঢালা পোশাক পড়তে হয় যাতে তা সহজে খোলা যায় এবং তার যদি পূর্ববর্তী কোন ফাইল বা রিপোর্ট থাকে তাহলে রিপোর্টগুলো নিয়ে আসতে হবে কারণ anomaly scan করার পূর্বে পূর্ববর্তী রিপোর্টগুলোর প্রয়োজন হতে পারে।

anomaly scan করার সময় প্রথমে টেবিলে শুয়ানো হয় এবং পেটে জেল লাগানো হয়। তারপর ট্রান্সডুসার নামক একটি যন্ত্র জেলের উপরে ঘুরিয়ে ছবি তৈরি করা হয়। এই ছবিগুলো মনিটরে দেখা যাবে এবং চিকিৎসক আপনার শিশুর বিভিন্ন অঙ্গ পরীক্ষা করবেন। এই পরীক্ষাটি করতে সর্বনিম্ন ২০ মিনিট এবং সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগে।

এই পরীক্ষাটি করতে কোন ব্যাথা লাগে না তাই এটি অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আপনিও যদি গর্ভাবস্থায় আপনার শিশুর শারীরিক পরিস্থিত পরীক্ষা করতে চান তাহলে এই scan করতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন anomaly scan কিভাবে করা হয় তা বিস্তারিত। আমাদের আর্টিকেলের নিচের অংশে এই সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হবে তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

anomaly scan করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশে

যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা আবার মেয়েদের গর্ভাবস্থার সময় এবং সন্তান হওয়ার পরে অনেক খরচ হয়। এজন্য যারা মধ্যবিত্ত তাদের এই সময় অনেক টেনশনে থাকতে হয়। যাইহোক, আপনি যদি বাংলাদেশের বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং anomaly scan করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এর খরচ সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।

আপনি বিভিন্ন স্থানে এটি করতে পারবেন। তবে স্থান অনুসারে anomaly scan এর খরচ নির্ভর করে থাকে। তাই আপনার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো যাতে আপনি বিভিন্ন স্থানের খরচ সম্পর্কে অবগত থাকেন এবং আর্থিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন anomaly scan করানোর জন্য।

Anomaly scan বাংলাদেশে ৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। খরচ নির্ভর করে হাসপাতাল/ক্লিনিকের ধরণ, ডাক্তারের খ্যাতি, এবং স্ক্যানের ধরণ (2D/3D/4D) এর উপর। এজন্য আপনার সুবিধার্থে anomaly scan এর খরচ স্থান অনুসারে উল্লেখ করা হলো যাতে আপনি এই বিষয়টি সহজে বুঝতে পারেন।

সরকারি হাসপাতালে
  • ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেঃ ৫০০-৭০০ টাকা
  • স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেঃ ৫০০-৭০০ টাকা
  • মিত্রোদয় হাসপাতালেঃ ৫০০-৭০০ টাকা
বেসরকারি হাসপাতালে
  • অ্যাপোলো হাসপাতালেঃ ৩০০০-৫০০০ টাকা
  • এভারকেয়ার হাসপাতালেঃ ৩০০০-৫০০০ টাকা
  • ইউনাইটেড হাসপাতালেঃ ৩০০০-৫০০০ টাকা
ক্লিনিকে
  • প্রাইম মেডিকেল সেন্টারেঃ ১৫০০-২০০০ টাকা
  • ডায়াবেটিক সমিতিতেঃ ১৫০০-২০০০ টাকা
  • মাদার কেয়ারেঃ ১৫০০-২০০০ টাকা
এছাড়া আপনি আপনার স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই স্ক্যানটি করাতে পারে এতে কোন সমস্যা নেই। আবার আপনি চাইলে আপনার এলাকার স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকেও এটি করাতে পারে। তবে উপরে উল্লেখিত স্থানগুলি বাংলাদেশ অতি জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বন করতে চান সেক্ষেত্রে উপরোক্ত স্থানগুলোতে scan করাতে পারেন।

আপনার ব্যক্তিগত ডাক্তারের সাথে কথা বলুন এবং জিজ্ঞাসা করুন কোথায় anomaly scan করা ভালো হবে। anomaly scan করার খরচ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম তাই হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের খরচ সম্পর্কে খোঁজ নিন এবং আপনার বাজেট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে রিভিউ পড়তে পারেন এবং অন্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

মনে রাখবেন, anomaly scan একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এবং এটি করার জন্য আপনার অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ এগুলো সেনসেটিভ বিষয় এজন্য আপনার উচিত এই সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করা। আশা করি anomaly scan করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশে তা জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা

আপনার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে এনোমালি স্ক্যান রিপোর্ট বয় আর গার্ল, anomaly scan এর খরচ এবং anomaly scan সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ধৈর্য ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আমরা আশা করি আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার প্রশ্নের উত্তরটি সঠিকভাবে পেয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

dfsfsdfdg