androcap কতদিন খাওয়া যায়- androcap এর কাজ কি- অপকারিতা,খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি androcap কতদিন খাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে androcap কতদিন খাওয়া যায় এবং androcap এর কাজ কি ও androcap এর অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।

এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন androcap 40 mg খাওয়ার নিয়ম এবং androcap এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও এন্ড্রোক্যাপ ক্যাপসুল এর উপকারিতা,Androcap এর দাম কত - Androcap 40 mg এর দাম কত সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টার দেখে আগানো যাক।

ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। নিয়মের বিপরীতে কখনো ওষুধ খাওয়া ঠিক হবে না এতে করে আপনি উপকারের বদলে অপকারিতা পাবেন। androcap 40 mg খেতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। কখনো খালি পেটে ওষুধ খাবেন না। সবসময় চেষ্টা করবেন ভরা পেটে ওষুধ খাওয়া।

এই ওষুধ শুধু পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনে বৃদ্ধি করে না বরং হাড়ের ক্ষয় ঠেকাতে সাহায্য করে পেশীর শক্তি বজায় রাখে শরীরের ক্লান্তি দূর করে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কোন ব্যক্তি যদি মিলনের বেশি সময় স্থায়ী না হয়। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বীর্য বের হয়ে যায় অথবা তার লিঙ্গের চামড়া ঢিলে হয়ে যায় অথবা লিঙ্গ ঠিকমতো খাড়া হয় না

বা লিঙ্গ দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে এমন সব সমস্যার জন্য প্রথম তিন থেকে চার সপ্তাহ দিনে তিনটি করে androcap 40 খেতে হবে। এভাবে এক মাস চলার পরে যখন অবস্থার উন্নতি হবে তখন এই ওষুধ খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে। তখন প্রতিদিন একটা করে খেতে হবে। এ ক্যাপসুল পানির মাধ্যমে গিলে খেতে হবে। কখনোই চিবিয়ে খাওয়া যাবে না।

যারা বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক খাচ্ছেন অথবা মেগি রোগে আক্রান্ত তারা এ ক্যাপসুল কখনোই খাবেন না। এই ক্যাপসুল তাদের জন্য বিপদজনক। যাদের বেস্ট টিউমার রয়েছে তারাও এ ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনি যদি এই ওষুধ খেতে চান তাহলে অবশ্যই এ নিয়ম অনুযায়ী খাবেন। যখন আপনি একটা সময় গিয়ে অনুভব করবেন আপনি সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে গেছেন

তখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার মাধ্যমে এ ওষুধ খাওয়া কমিয়ে দিয়ে পুষ্টিকর খাবারের দিকে মনোযোগ দিবেন। এ ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে ভালোভাবে পরামর্শ করে নিবেন। ডাক্তার আপনার অবস্থা বুঝে যে মোতাবেক খেতে বলবে আপনি সেই মোতাবেক খাবেন তাহলে আপনি আরো বেশি উপকৃত হতে পারবেন।

সব ওষুধ খাওয়ার একটি নির্ধারিত সময়সীমা রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি অসুস্থ বা সমস্যায় ভুগবেন সে ওষুধ ততদিনে খাওয়া উচিত। যখন আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন বা আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবেন তখন সে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। androcap খাওয়ারও একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। সময় সীমা নির্ধারণ করা হয় বা আপনি এই ঔষধ কতজন খাবেন তার সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার অবস্থার উপরে।

কিছু এমন সমস্যা রয়েছে যেগুলোর জন্য প্রথম তিন থেকে চার সপ্তাহ দিনে তিনটি করে এ ক্যাপসুল খেতে হয়। সেই সমস্যা গুলো হচ্ছে

স্ত্রীর সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলনের সময় দিতে না পারা অর্থাৎ কিছুক্ষণের মধ্যেই বীর্য বের হয়ে যাওয়া।

লিঙ্গের চামড়া ঢিলা হয়ে যাওয়া। বিশেষ করে পুরুষাঙ্গের সামনের চামড়া একেবারে ঢিলা হয়ে যাওয়া।

যখন আপনি আপনার মধ্যে এই সমস্যাগুলো দেখতে পাবেন তখন আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে দিনে তিনটি করে এই ক্যাপসুল খাবেন। এভাবে তিন থেকে চার সপ্তাহ আপনাকে দিনে তিনটি করে ক্যাপসুল খেতে হবে। এরপরে যখন আপনার সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে এবং আস্তে আস্তে আপনি সুস্থ হতে শুরু করবেন তখন এই ওষুধ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আনতে হবে।

প্রথম চার সপ্তাহ পার হওয়ার পরে তারপর থেকে দিনে একটি করে ক্যাপসুল খেতে হবে। আগে দিনে তিনটি করে খেতে হতো এখন দিনে একটি করে খাবেন। এভাবে যখন আপনি আস্তে আস্তে দুই মাস সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবেন তখন এই অবসরে ক্যাপসুল খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। যদি আপনি লক্ষ্য করেন দুই মাস যাওয়ার পরেও শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে

আপনি দীর্ঘ সময় স্থায়ী হতে পারছেন না তাহলে শারীরিক সম্পর্ক করার কিছু সময় আগে অর্থাৎ আপনি যদি রাত্রে শারীরিক সম্পর্ক করেন তাহলে সন্ধ্যার পরে এই ওষুধ খেয়ে নেবেন। এভাবে আপনার যতদিন মন চাই খেতে পারেন তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে প্রথম তিন থেকে চার সপ্তাহ তিনটি করে ক্যাপসুল খাওয়া এরপরে তিন থেকে চার সপ্তাহ একটি করে ক্যাপসুল খাওয়া।

তারপর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। ডাক্তার যে মোতাবেক পরামর্শ দেয় সে মোতাবেক চলবেন।

এই ওষুধ সেই সব রোগীদের জন্য যাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কম। এই হরমোন একজন পুরুষের পুরুষত্বের উপরে নির্ভর করে। যাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি তারা দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারে। একজন পুরুষ তাদের পুরুষত্ব ধরে রাখতে অনেক ভালো ভালো এবং পুষ্টিকর খাবার খায় এরপরও দেখা যায় ঠিকভাবে নিজের পুরুষত্ব ধরে রাখা যায় না।

এন্ড্রোক্যাপ ক্যাপসুল টি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি কার্যকরী। একজন পুরুষের অন্ডকোষ থেকে এই হরমোন তৈরি হয়। যখন অন্ডকোষ এই হরমোন তৈরি হতে বাধা দেয় তখন মানুষের ভেতরে শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে। ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত অন্ডকোষ স্বাভাবিকভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে পারে। এরপর আস্তে আস্তে তা কমে যায়।

এন্ড্রোক্যাপ ক্যাপসুল এর কাজ হচ্ছে একজন পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করা। টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয় সে সমস্যাগুলো হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যাবে। বীর্য একেবারে পাতলা হয়ে যাবে। স্ত্রীর সাথে দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক সম্পর্ক করতে অক্ষম হবে। লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যাবে। লিঙ্গ ঠিকভাবে খাড়া হবে না।

লিঙ্গ নরম হয়ে যাবে। লিঙ্গের চামড়া অনেক ঝুলে যাবে। শরীর দেখে বয়স বেশি মনে হবে। কোন কাজে ঠিক ভাবে মন বসবে না। মানসিক চাপ বেশি থাকবে। মাথার চুল পড়া শুরু হবে। কোন কিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়তে থাকবে। আস্তে আস্তে ডিপ্রেশনে চলে যাবে। অনেক বেশি উদাসীন হবে।

যখন একজন মানুষের ভিতরে এই সমস্যাগুলো অথবা এই সমস্যাগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি সমস্যা দেখা দেবে তখন সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে এই ক্যাপসুল খাওয়া হয়। এই ক্যাপসুল শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি করতে পারে যার কারণে এই সমস্যার সমাধান গুলো হয়ে যায়। এ ক্যাপসুল এতগুলো সমস্যার বিরুদ্ধে একাই লড়াই করতে পারে

এজন্য আপনার ভেতরে যদি এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে আপনি এই ক্যাপসুল খেতে পারেন। এই ক্যাপসুল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যদি খেতে বলে তাহলেই খাবেন এতে করে আপনার জন্যই ভালো হবে।

এই ওষুধ একজন পুরুষের মানুষের জন্য অনেক বেশি উপকারী। একজন পুরুষের শরীরে ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত অন্ডকোষ থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি হয়। একটা সময় গিয়ে এই হরমোন তৈরি আস্তে আস্তে কমে যায় যার কারণে অনেকগুলো সমস্যার সম্মুখীন একটা পুরুষ মানুষ হতে থাকে। এই ক্যাপসুল খাওয়ার কারণে একজন মানুষ যেসব উপকারিতা গুলো পায় তা হচ্ছে

এই ক্যাপসুল খেলে একটি মানুষ এইসব উপকারিতা গুলো পাবে এজন্য যাদের এই সমস্যাগুলো রয়েছে তারা সে সমস্যার সমাধান হিসেবে এই ওষুধ খেতে পারেন। এ ওষুধ খেলে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন।

প্রত্যেক ওষুধের কিছু অপকারী দিক ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অপকারী দিক থেকে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে বেঁচে থাকতে অবশ্যই কখনো এ ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবে না। আপনি নিয়ম অনুযায়ী খেলে অবশ্যই ক্ষতি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।

এছাড়াও এই ওষুধ খাওয়ার কারণে আরো কিছু পার্শ্বপ্রতিকরা দেখা দেয় সেগুলো হচ্ছে

এই ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনি এই সমস্যার গুলোর সম্মুখীন হতে পারেন। এই সমস্যাগুলো সামনে আসলে কখনোই চিন্তিত হবেন না। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন ডাক্তার যে মোতাবেক পরামর্শ দেয় সেই মোতাবেক চলবেন তাহলে আপনার ভেতরে আর কোনো রকমের অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রভাব ফেলতে পারবে না।

খাওয়ার যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী খাবেন তাহলে আপনার শরীরের ক্ষতি হওয়া সম্ভব না একেবারে কম।

এই ওষুধ প্রতি পিস এর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। একেক জায়গায় একেক রকমের দাম নিয়ে থাকে। বিশেষ করে আপনি অনলাইনে কিনতে গেলে আপনার থেকে দাম বেশি নিতে পারে।আপনি যদি এক প্যাকেট কিনতে চান সেক্ষেত্রে এক প্যাকেটের মধ্যে ৩০ টাকা ক্যাপসুল থাকে যার মূল্য ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে হবে।

কেনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে মেয়াদ যাচাই বাছাই করে নিবেন এবং তা সরকার অনুমোদিত কি না ভালোভাবে দেখে নিতে হবে ও কোম্পানি কোনটা সেদিকে ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম অনুযায় খাবেন। কখনো অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন না। খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন। ডাক্তারদের পরামর্শ দেয় সে মোতাবেক খাবেন তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে এবং সব সময় ওষুধ খেয়ে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখবেন।

আমার এই পোস্ট যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও এন্ড্রোক্যাপ ওষুধ সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে।