রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন- শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ- হিমোগ্লোবিনের কাজ

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম উল্লেখ করা হবে। তাই যদি রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম ও দাম জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন - শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ
অনেকের রক্ত ও রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা কম থাকে, ফলে বাহ্যিকভাবে তাদের শরীরে রক্ত ও রক্তে হিমোগ্লোবিন প্রবেশ করাতে হয়। এজন্য অনেকে জিজ্ঞেস করে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম ও দাম কত? তো তাদের জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম ও দাম উল্লেখ করা হবে।

ভূমিকা

এই আর্টিকেল জুড়ে হিমোগ্লোবিন কি, আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেন কমে যায়, হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়, রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম ও দাম, শরীরে রক্ত বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

হিমোগ্লোবিন কি

হিমোগ্লোবিন হল এক ধরনের প্রোটিন যেটি মূলত লোহিত রক্তকণিকাতে অবস্থিত। এটি মূলত লোহিত রক্ত কণিকাতে অক্সিজেন বহন করে এবং শরীরে বিভিন্ন অংশে যখন অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তখন এই হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন অক্সিজেন বহন করে। হিমোগ্লোবিন মূলত গোল আকৃতির হয়ে থাকে কারন এটি একটি গ্লোবুলার প্রোটিন। এটি মূলত একাধিক সাবইউনিট দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।

হিমোগ্লোবিনের কাজ


হিমোগ্লোবিন আমাদের রক্তের একটি প্রোটিন। এটা আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারী দায়িত্ব পালন করে। এটি মূলত আমাদের শরীরের অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবহনের কাজ করে থাকে। অর্থাৎ এই হিমোগ্লোবিন ফুসফুসের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং তা শরীরের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও হিমোগ্লোবিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে।

হিমোগ্লোবিন নির্দিষ্ট কোষ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং সেটি ফুসফুসে নিয়ে যায়। এ দুটি মূলত হিমোগ্লোবিনের প্রধান দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই দুটি প্রধান দায়িত্ব বাদেও হিমোগ্লোবিন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হিমোগ্লোবিনের এই ভূমিকাটি হলো রক্তকে লাল দেখানো। অর্থাৎ আপনারা বলতে পারেন রক্ত লাল দেখানোর পিছনে একমাত্র কারণ হলো হিমোগ্লোবিন প্রোটিন।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেন কমে যায়

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেন কমে যায় আর কেনই বা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম কি? কিন্তু তারা হয়তো এটা জানে না রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেন কমে যায় এবং আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কেন প্রয়োজন? তো চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

রক্ত হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো লোহিত রক্ত কণিকার অভাব। অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি লোহিত রক্ত কণিকার সংকট থাকে তাহলে এটি একমাত্র কারণ হতে পারে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার। কারণ আমাদের শরীরে একমাত্র লোহিত রক্তকণিকার মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়।

তবে রক্ত যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গানুর সংযোজন ক্ষমতা অনেকাংশেই হ্রাস পায়। কারণ এই হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড ট্রান্সপোর্ট করে থাকে। তবে প্রধান ভাবে বলা যায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটতে থাকে।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় কেন সেই কারণগুলো সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত। যেহেতু আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় রয়েছে রক্তিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন এর নাম ও দাম সম্পর্কে তাই আমরা সেদিকে দুটো অগ্রসর হব তবে এবার আপনাদের জানানো হবে হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

অনেকেই মনে করে থাকে হিমোগ্লোবিন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে আসলেই হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু আপনাদের জানা থাকা উচিত হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে রক্তস্বল্পতার কারণ, রোগীর বয়স এবং রক্তশূন্যতা হওয়ার পরে রোগীর কি ধরনের উপসর্গ উপলব্ধ হচ্ছে তারপরে নির্ভর করে। এর জন্য আপনাদের বিস্তারিত পড়া উচিত।

সাধারণত, পুরুষদের জন্য হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং মহিলাদের জন্য ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার। এই মাত্রার নিচে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা থাকলে রক্তশূন্যতা ধরা হয়। কিন্তু এটি বিভিন্ন পরিস্থিতি সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে। তবে সাধারণত গড় হিসাবে এটিকে হিমোগ্লোবিনের সার্বজনীন মাত্রা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন - শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ

উপরের হেডিং দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন আমরা সেই গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছি যে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে আপনারা সহজেই হিমোগ্লোবিন এবং রক্ত বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখতে পারেন এবং আপনাদের বাস্তব জীবনে তা প্রতিফলন ঘটে সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। তো চলুন আমাদের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় জানা যাক।

এই পর্যায়ে আপনাদের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন - শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম ও দাম সম্পর্কে। তবে এটি জানার পূর্বে আপনাদের এটি জেনে রাখা উচিত যে ইনজেকশন কিভাবে আমাদের শরীরে কাজ করে এবং কেন হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন দিলে আমাদের শরীরে লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় ইনজেকশন অনেক দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হয় এর একমাত্র কারণ হলো ইনজেকশন দেওয়া হয় সরাসরি রক্ত প্রবাহে। যখন এই ইনজেকশন আমাদের রক্ত প্রবাহের সরাসরি দেওয়া হয় তখন সেটি তৎক্ষণা আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর কার্যকারিতা কয়েকগণ বৃদ্ধি পায়। এজন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ইনজেকশন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

নিচে সবচেয়ে কার্যকরী রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন এর নাম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো যাতে আপনারা সহজে সেই নামগুলো জানতে পারেন তার সাথে সেই ইঞ্জেকশন এর বর্তমান বাজার মূল্য সম্পর্কে অবগত হতে পারে। আমাদের বাংলাদেশরক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়। ইনজেকশন গুলোর নাম নিম্নরূপঃ
  • Revofer Injection
  • Folinex Injection
  • Neuro B Injection
আইরনের ক্ষেত্রে: Revofer ইনজেকশন সবথেকে বহুল ব্যবহৃত। এটি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মত ভয়ংকর রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু Revofer ইনজেকশন বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় ঔষধ প্রস্তুতকার প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এর তৈরিকৃত ইনজেকশন সেহেতু আপনি এটি নির্দ্বিধায় নিতে পারেন। Revofer ইনজেকশন এর দাম ৬৩০ টাকা।

ভিটামিন বি১২ ইনজেকশন এর ক্ষেত্রে: Neuro B Injection চেয়ে বেশি কার্যকর। কারণ এটি রক্তের কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন এর ক্ষেত্রে আপনি Neuro B Injection ব্যবহার করতে পারেন। এটিও স্কয়ারের একটি ইনজেকশন। এটির দাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে Neuro B Injection এর বর্তমান দাম হলো ৪৫ টাকা।

ফলিক অ্যাসিড ইনজেকশন এর ক্ষেত্রে: আপনি Folinex Injection ব্যবহার করতে পারেন। Folinex Injection নিলে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে। Folinex Injection বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর তৈরি কিছু একটি ইনজেকশন। Folinex Injection এর বর্তমান দাম ৪৫০ টাকা।

তবে আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা ভুলেও এই ইনজেকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না কারণ যে কোন হলে সেটি সর্বপ্রথম আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। তবে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে সক্ষম হলে আমি মনে করি।

শরীরে রক্ত বৃদ্ধির খাবার

অনেকে মনে করে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য টাকা-পয়সা খরচ করে কোন ওষুধ সেবন করা লাগবে না অথবা কোন চিকিৎসা গ্রহণ করা লাগবে না। তবে তাদের ধারণাও ঠিকই কারণ এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো সেবনের মাধ্যমে আপনি আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কি খাবার যা শরীরে রক্ত বৃদ্ধির খাবার হিসাবে পরিচিত?

শরীরে রক্ত বৃদ্ধির করার জন্য চিকিৎসকেরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের বা বিভিন্ন ক্যাটাগরির খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি12 সমৃদ্ধ খাবার ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত। কারণ আয়রন সমৃদ্ধ রক্ত শরীরে রক্ত কোষ তৈরি করে, যার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আয়রন সম্পৃক্ত খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ মাংস, মাছ, কলিজা, ডিম, ডাল, শিম, বাদাম, শাকসবজি ইত্যাদি। আপনি চাইলে এই খাবারগুলো গ্রহণের মাধ্যমে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্ত বৃদ্ধি করতে পারেন।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছেঃ কমলা, লেবু, পেয়ারা, আম, টমেটো, ব্রকলি ইত্যাদি। আপনারা যদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে চান তাহলে উপরোক্ত খাবারগুলো খেলেই হবে। ভিটামিন সি মূলত ফলমূলে বেশি থাকে। এজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন ফলমূল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার, তাহলে আপনাদের শরীরে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

আপনি যদি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে চান তাহলে ফলিক এসিডের সবথেকে ভালো উৎস হল সবুজ শাকসবজি। সবুজ শাকসবজি কিংবা রঙ্গিন শাকসবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফলে কি এসিড রয়েছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন রকম রঙ্গিন সবজি যেমনঃ পালং শাক, মেথি শাক, ব্রকলি, ইত্যাদি রান্না করে খেতে পারেন। এগুলো অনেক সুস্বাদু হলে এগুলো খেতে কোন সমস্যাই হবে না।

সবুজ শাকসবজি বাদে ও আপনি যদি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে চান তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের লেবু যেমনঃ কমলা, লেবু, পেয়ারা, ইত্যাদি খেতে পারেন। এছাড়াও ফলিক এসিডের আরেকটি শক্তিশালী উৎস রয়েছে, তা হল মটরশুটি। কারণ ১ কাপ মটরশুঁটিতে প্রায় ৩৫৮ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড থাকে।

ভিটামিন বি12 সমৃদ্ধ খাবার সমৃদ্ধ খাবারের অভাব নেই বললে চলে। কারন মোটামুটি স্বাভাবিকভাবে আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো গ্রহণ করি সেগুলোর মধ্যে ভিটামিন বি12 রয়েছে। ভিটামিন বি12 সমৃদ্ধ খাবার হলঃ গরুর মাংস, মুরগির মাংস, খাসির মাংস, টুনা, স্যামন, সালমন, ডিম, দুধ, দই, পনির,ইত্যাদি।

আজকে যে খাবারগুলো উল্লেখ করা হয়েছে আপনাদের উচিত এই খাবারগুলো গ্রহণের পাশাপাশি চিকিৎসা গ্রহন করা। কারণ এই খাবারগুলো রক্ত তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে ফলে দ্রুত রক্ত তৈরি হয়। তবে আপনারা যদি অল্প সময়ের মধ্যে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন ব্যবহার করতে পারেন।

শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলে হিমোগ্লোবিন কি, আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেন কমে যায়, হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়, রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম ও দাম, রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ, শরীরে রক্ত বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনাদের মনের প্রশ্নের উত্তর সহজেই পেয়েছেন বলে আমি মনে করি।

তো আজকে এই পর্যন্তই, দেখা হবে আবার অন্য কোন আর্টিকেলে অন্য কোন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। ততক্ষণ নিজের খেয়াল রাখবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের আর্টিকেলে প্রকাশিত বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রতিনিয়ত পড়ার মাধ্যমে আপনার জ্ঞানের ভান্ডার বৃদ্ধি করবেন। অবশেষে বলতে চাই এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। 08

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানবো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

dfsfsdfdg